পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KOS 2 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ > 8 : দুই একদিনে ফণীন্দ্র যতির সহিত আমার আলাপ ও আত্মীয়তা জন্মিল। আমি কখনও কাশীতে গেলে তঁহার সহিত দেখা করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া গেলেন। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মন্দির সম্পূর্ণ করা।--মতিহারী তহঁতে কলিকাতা ফিরিবার কয়েক মাসের মধ্যেই আমার প্রতি এক মহাকাজের ভাৱ পড়িয়া গেল। সেটা অদ্ধনির্ম্মিত উপাসনা মন্দিরটিকে সম্পূর্ণ করিবার উপায় বিধান করা । ১৮৭৯ সালের প্রারম্ভে মন্দিরের ভিত্তি স্থাপিত হয়। তখন আনন্দমোহন বসুর শ্বশুর ভগবানচন্দ্র বসু মহাশয় ছুটতে ছিলেন । তিনি দয়া করিয়া ঐ মন্দির নির্ম্মাণ কার্য্যের ভার লাইতে চাহিলেন। রূড়কি হইতে শিক্ষাপ্রাপ্ত সুপ্রসিদ্ধ ইঞ্জিনিয়ার নীলমণি মিত্র বিনা বয়ে [ান প্রভৃতি করিয়া দিয়া বিশেষ সাহায্য করিতে লাগিলেন । নির্ম্মাণকার্য্য অগ্রসর হইতে লাগিল । ১৮৮০ সালের মাঘোৎসব অৰ্দনির্ম্মিত মন্দিরের মধ্যেই সম্পন্ন হইয়াছিল। তথন আশা করা গিয়াছিল যে, ১৮৮১ সালের মাঘোৎসব সমাধা প্রাপ্ত মন্দিরের মধ্যেই হইবে । কিন্তু ১৮৮০ সালের আগষ্ট মাসে দেখা গেল যে অবশিষ্ট কয়েক মাসের মধ্যে অবশিষ্ট কার্য্য শেষ হওয়া কঠিন। ভগবান বাবুর উদ্ভাবনী শক্তি বড় প্রবল ছিল। তাহার মা শাতে অনেক পরামর্শ আসিত । এজন্য নানা কাজের সৃষ্টি করিয়া তিনি অনেকবার ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছিলেন । মন্দিরের নির্ম্মাণ কার্য্য হাতে লইয়া তিনি ভাবিলেন যে, নেপাল তরাই হইতে শালকাঠ আনাইলে সস্তী হইতে পারে । তদনুসার্থে নেপাল তরাইয়ে শািলকাঠের অর্ডার দিয়াছিলেন। সে কাঠ কয়েক মাস ধরিয়া নানা নদ নদী দিয়া ভাসিয়া আসিবে, কাজেই বিলম্ব হইতে লাগিল। অবশেষে কাঠ যখন আসিল, তখন তাহার অনেক কাঠ কম-মজবুত বোধ হইল। কি করা যায়, কূি করা যায়, করিতে করিতে দিন যাইতে লাগিল। ওদিকে ভগবান বাবু স্থানাস্তরে যাইতে বাধ্য হইলেন।