পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

එළු8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৫শ পরিঃ উঠানে আসিল । আমি উপরে আসিবার জন্য কত ডাকিলাম, কোন | মতেই আসিল না। অবশেষে খাইতে দিবার জন্য একখানি “আমি” লইয়া নীচে গেলাম। আমি বলিলাম, “হােত পাত।” হাত পাতিল, কিন্তু আমি যখন “আপম” দিতে গেলাম, তখন পাছে হাতে হাতে ঠেকাঠেকি হয় এই ভয়ে হাত সরাইয়া হইল। তখন আমি তাহার হাত ধরিয়া হাতে আপমখানা দিলাম, এবং তাঙ্গাকে টানিয়া উপরে লইয়া গেলাম। একটী ছোট ঘর দেখাইয়া দিয়া বলিলাম, সে ঘরে সে রাত্রে থাকিবে; এবং যে বাড়ীতে আমি খাই সে বাড়ীতে খাইতে পাইবে । এই বলিয়া চাকরের হাতে তাহাকে দেখিবার ভার দিয়া বন্ধুর বাড়ীতে আহার করিতে গিয়া তাহার পত্নীকে সমুদয় বিবরণ বলিয়া তাহাকে খাইতে দিবার জন্য অনুরোধ করিলাম। তিনি স্বীকৃত হইলেন। ছেলেটা কিছুদিনের মত আমার কাছে থাকিয়া গেল । আমি নিশ্চিন্ত আছি যে সে যথা সময়ে আহার পাইতেছে। কিন্তু একদিন প্রাতে কোন কাজে বাহির হইয়া বাড়ীতে ফিরিতে অনেক বিলম্ব হইল। আমার আহারের নিৰ্দিষ্ট সময় উত্তীর্ণ তইয়া গেল। আমি আহার করিতে গিয়া দেখি, বাহিরের দরজার সম্মুখে স্বাস্তার উপ একখানা পাতে কুকুরের মত ছেলেটাকে ভাত দেওয়া হইয়াছে; সে বসিয়া আহার করিতেছে। দেখিয়া ভিতরে গেলাম। আহারে বসিয়া বন্ধুর পত্নীকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “আমার ছেলেটাকে কুকুরের মত রাস্তায় ভাত দেওয়া হয় কেন ?” তিনি হাসিয়া বলিলেন, “ওর বে। জাত গেছে। ওশ্রেণীর লোক ভদ্রলোকের বাড়ীতে প্রবেশ করতে পায় না। ওরা সকলেই ত রাস্তায় খায়।” : তার পর তাহার সঙ্গে যে কথোপকথন হইল তাহা এই — · আমি-তুমি কি মনে কর, আমার জাত গেছে কি আছে ? তুমি, ত জান, আমি সকল জাতির বাড়ীতে খাই। কতদিন তোমাকে বলে