পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই ভাবটা প্রবল আছে। আমি বসিয়া আছি, কিয়ৎক্ষণ পরে দেখি, তিন চারি জন সবলকায় পুরুষ আসিয়া দ্বারে উকি মারিতেছে ও পরস্পর কি পরামর্শ করিতেছে । তখন আমার সেই সংবাদপত্রের কথাটা স্মরণ হইল। আমি আসন ত্যাগ করিয়া উঠিলাম ও দ্রুতগতিতে বাহিরের বাস্তায় যাইবার জন্য অগ্রসর হইলাম। তাহারা দ্বারে আমার গতিরোধ করিবার চেষ্টা করিল। তাহারা আমার হাত ধরিতে না ধরিতে আমি । দৌড়িয়া রাস্তায় গিয়া দাড়াইলাম। তখন দেখি সেই লোকটা রাস্তার অপর পার্শ্ব হইতে আমাকে দেখিয়া ছুটিয়া আমার দিকে আসিতেছে। সে চীৎকার করিয়া বলিতে লাগিল, “দাঁড়ান, দাড়ান, আমার স্ত্রী আসছে।” আমি বলিলাম, “না, তােমার স্ত্রীর জন্য আর দাঁড়াইব না, আমি চলিলাম।” সে আমার সঙ্গ লইল। আমি বলিলাম, “তোমাকে যখন কিছু দিব বলেছি, তখন দিচ্ছি ; তুমি আমার সঙ্গ ছেড়ে যাও।” এই বলিয়া তাকে কিছু পয়সা দিয়া কুমারী কলেটের বাড়ী গেলাম। গিয়া তার বকুনি খাইয়া মরি। তিনি বলিলেন, “তুমি কাগজে পড়েছি, লোকমুখে শুনেছি, এই দিকে খারাপ লোকের বাস ; তবু তোমার চেতনা হয় নাই, এ বড় আশ্চর্য্য কথা ! আর যদি প্রাণভয়ে পালিয়ে এলে, তবে পয়সা দিলে কেন ? দয়ার কি স্থান অস্থান নাই ?” আমি আর কি বলিব ! মাথা পাতিয়া তার বকুনি খাইলাম । নারীর সম্মান ।-যাহা হউক, ভাল বিষয়ও অনেক দেখিতে লাগিলাম। তাহার কতকগুলি মনে আছে এবং উল্লেখ করিতেছি। একদিন কোথায় যাইব বলিয়া ট্রামে বসিয়াছি। গাড়ীটা প্রায় যাত্রীতে পরিপূর্ণ। আরোহীদিগের মধ্যে একজন এমনই মাতাল যে ঠিক হইয়া বসিতে পারিতেছে না। এমন সময় দেখা গেল, দুইজন ভদ্র স্ত্রীলোক গাড়ীতে উঠিােত আসিতেছেন। সে দেশের নিয়ম এই যে গাড়ীতে জায়গা