পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*0as শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১৮শ পরিঃ বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির সহিত সাক্ষাৎকার । ই বি কাউয়েল।-- এই কেন্বিজ পরিদর্শনকালের আর-একটী ঘটনা স্মরণ আছে। ঋষিপ্রতিম। ই বি কাউয়েল, যিনি এক সময়ে প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রফেসর ও সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, যাহার সাধু চরিত্রের সংশ্রবে। আসিয়া প্রেসিডেন্সী কলেজের কতিপয় ছাত্র খ্রীষ্টধর্ম্মে দীক্ষিত হয়, তিনি তখন সংস্কৃতের অধ্যাপক রূপে কেন্থি জে বাস করিতেছিলেন। অধ্যাপকতা করিবার জন্য র্তাহাকে কলেজে যাইতে হইত না, কিন্তু সংস্কৃতশিক্ষার্থী ছাত্রগণ র্তাহার ভবনে আসিয়া পড়িয়া যাইত। সেই প্রবীণ মানুষ যখন শুনিলেন যে ভারতবর্ষের একজন নেতৃস্থানীয় লোক কেন্থিজের কলেজ সকল পরিদর্শন করিতে আসিয়াছেন, তখন সেই দুর্য্যোগের ভিত্ত্বিরেও, আমি যে বন্ধুর বাড়ীতে উঠিয়াছিলাম, তাহার ভবনে আসিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । আমি বাল্যকালে সংস্কৃত কলেজে পড়িবার সময় তাহাকে আমাদের কলেজের অধ্যক্ষ রূপে দেখিয়াছিলাম, এবং কিরূপে তাহার সাধুতার দ্বারা মুগ্ধ হইয়াছিলাম, তাহার বিবরণ অগ্রেই দিয়াছি। এখন দেখিলাম সেই সাধু পুরুষ পালিত কেশ, স্থবির ; তাহার শুভ্র শ্মশ্র’জাল নাভিকে অতিক্রম করিয়া নামিয়াছে ; চক্ষুদ্বয়ে ও মুখের আকৃতিতে গভীর প্রঃ + ঠুনুরাগ ও সাধুতার দেদীপ্যমান প্রমাণ রহিয়াছে। তঁহাকে আসিতে দেখিয়া আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া গেলাম ! তেঁহাকে বালক কালে কি দেখিয়াছিলাম, এবং তিনি আমার জীবনে সত্যানুরাগ কিরূপে উদ্দীপ্ত করিয়াছিলেন তাহা যখন বলিলাম, এবং মিউটিনির হাঙ্গামা থামিলে নববর্ষে পারি৩ে:শিক বিতরণের সময় তিনি যে সংস্কৃত কবিতাটি রচনা করিয়া পাঠ করিয়াছিলেন তাহা যখন আবৃত্তি করিলাম, তখন তিনি বিস্ময় ও আনন্দে পূর্ণ হইয়া উঠিলেন, এবং কেবলমাত্র আমাকে বুকে জড়াইয়া কোলে লইতে বাকি রাখিলেন । তঁহার রচিত সেই কবিতাটি এই--