পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৮ ] মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের উন্নত চরিত্র 8 o a পরিত্যাগ করিয়া গেল। মেয়েটা চলিয়া গেলে ভাবিতে লাগিলাম, যেমেয়ে একশটাি শব্দ লিখিয়া এক পেনি করিয়া পায়, সে মেয়ে আম অপেক্ষা জ্ঞানে এত অগ্রসর যে, তাহার সহিত কথা কহিয়া আমি আপনাকে উপকৃত বোধ করিতেছি ; এ দেশে জ্ঞানচর্চা কি প্রবল! ইহাও মনে হইল, প্রজাসাধারণের মধ্যে জ্ঞানালোচনা ও জ্ঞানস্পৃহা প্রবল থাকা নরনারীর সম্মিলনের মধ্যে পবিত্রতা রক্ষা হওয়ার একটা প্রধান উপায়। এই যে দুই ঘণ্টাকাল দুইজনে কথাবার্ত্তাতে মগ্ন ছিলাম,-আমি যে পুরুষ এবং ও যে মেয়ে, তাহা মনেই ছিল না। কোথা দিয়া সময় গেল তাহা জানিতেই পারিলাম না। : মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের উন্নত চরিত্র -ইংরাজ সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের স্বভাব চরিত্র সম্বন্ধে অধিক কথা বলিবার | প্রয়ােজন নাই ; একটী বিষয়ের উল্লেখ করিলেই তাহার কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে । আমার সেখানে অবস্থান “কালে একটী বাঙ্গালী যুবকের মুখে যে ঘটনার কথা শুনিয়াছিলাম, তাহার উল্লেখ করিতেছি। ঐ যুবকটি মফঃসলে কোনও স্থানে বাস করিতেন। সেখানে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এক যুবকদম্পতীর গৃহে বাসা লইয়াছিলেন। তাহাদের বাড়ীর বাহির দিকে একটা দোকান ছিল, তাহাতে কিছু আয় হইত ; এবং তদ্ভিন্ন তাহারা বাড়ীর মধ্যে একটা ঘরে একটী ভাড়াটিয়া লইত, তাহার ঘরভাড়া ও খাই-খরচ হিসাবে কিছু পাইত। বাড়ীতে চাকর-বাকর ছিল না, মেয়েটাই সব কাজ করিত। মেয়েটার । বয়স তখন ২২২৩ এর অধিক হইবে না। আমাদের বাঙ্গালী যুবকটীর বয়স বোধ হয় ২৬/২৭ হইবে। মেয়েটার পতিরও ঐ বয়স। . আমাদের বাঙ্গালী যুবক বড় সৎ লোক ; তাঁহাকে পাইয়া যুবকদম্পতী। আনন্দিত ছিল। কিন্তু এদিকে এক বিপদ উপস্থিত। মেয়েী সরলভাবে যখন যুবকটীর কাছে আসে, চা ৷ আনিয়া দেয়, ছোড়া কাপড়