পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Yo শিবনাথ ऑक्षेत्र थांबब्रिड SS পরিঃ সিয়া “কেমন আছ, তোমার মুখ কেন শুকনো” প্রভৃতি প্রশ্ন যখন জিজ্ঞাসা করে, তখন আমাদের বাঙ্গালী যুবকটীর চিত্ত বড় বিচলিত হয়। কিন্তু ছেলেটী ভাল বলিয়া সে মনে মনে এই সংগ্রাম নিবারণ করে, মেয়েটকে কিছুই জানিতে দেয় না। এই অবস্থাতে সে অবশেষে স্থির করিল যে সে-বাড়ীতে আর তার থাকা উচিত নয়; কখন কি বলিয়া ফেলিবে, কখন কি করিয়া বসিবে, তার ঠিক কি ! একটা মহা ক্লেশকর ব্যাপার ঘটবে। সে অন্যত্র বাসা লইবে, এইরূপ স্থির করিয়া একদিন সায়ংকালীন আহারের সময় কারণ নির্দেশ না। করিয়া যুবকদম্পতীকে ঐ সংকল্প জানাইল। তাহারা উভয়েই মহাদুঃখিত হইয়া তৃাহাকে থাকিবার জন্য ব্যগ্রতা সহকারে অনুরোধ করিতে লাগিল। তখন আর সে অধিক কিছু বলিতে পারিল না ; সে যে ঘোর প্রলোভন ও সংগ্রামের মধ্যে বাস করিতেছে, তাহা জানিতে দিল না । দুশ্চিন্তাতে রাত্রে তাহার ভাল নিদ্রা হইল না। পরদিন দুপুর বেলা মাথা ধরিয়া সে অসময়ে কলেজ হইতে বাড়ীতে আসিল । তখন একার্কিনী সেই মেয়ে ঘরে আছে; পতি দােকানে। সে আসিয়া মেয়েটকে বলিল, “দেখ, আজি মাথাটা বড় ধরেছে, আমাকে এক পেয়ালা । চা ক’রে দিতে পাৱ ?” মেয়েট বলিব, “পারি বৈ কি ?” এই বািলয়া চা প্রস্তুত করিতে গেল। চা লইয়া আমাদের যুবকের নির্জন বৈঠকগৃহে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার কি হয়েছে ? কেন মাথা ধরেছে ? তোমার মুখ বড় খারাপ দেখাচ্ছে, রাত্রে কি ঘুমাও নাই ? তোমার মনে কোনও অসুখ নিশ্চয় আছে ; কি, তা বল না ! আমাদের দ্বারা যদি দূর হয়, আমরা তা করতে রাজি আছি।” ইত্যাদি। " এই সন্ধিক্ষণে আমাদের যুবকটা মেয়েটার মুখের দিকে চাহিয়া আর আত্মসংবরণ করিতে পারিল না। মনের আবেগে তাহার হাতখানি