পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Fার্য্যবহুল জীবন ও কোলাহলবার্জনের সমাবেশ ৪২৩ : বাড়ীতে আছ, নিজের ঘরে বসিয়া লিখিতেছ; রাস্ত হইতে সাড়া নাই, । শব্দ নাই, কেবল মস মাস জুতার শব্দ শোনা যাইতেছে। কিন্তু একবার যদি উঠিয়া জানালার কাছে দাড়াও, বোধ হইবে যেন রাস্তাতে টুপীর বন্যা । আসিয়াছে, এত লোক যাইতেছে! দোকানে কাপড় কিনিতে যাও, যেই | দ্বারটা ঠেলিবে অমনি কোথা হইতে টং করিয়া একটী ঘণ্টা বাজিবে ; ; প্রবেশ করিবামাত্র একজন লোক উপস্থিত। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে | যাহা প্রয়োজন তাহাকে বল, অবিলম্বে তাহ পাইবে ; দীর নাই, দস্তুর নাই, পাঁচ মিনিটের মধ্যে কাজ সমাধা। যেমন নিস্তব্ধ ভাবে কাজ করিবার রীতি, তেমনি সময় বােচান। এই গুণেই ইংরাজগণ কাজ করিবার | এত সময় পান। বলিতে কি, ছয় মাস ইংলণ্ড বাস করিয়া আমার চুপে চুপে কথা কহার এরূপ অভ্যাস হইয়া গিয়াছিল যে, স্বদেশে ফিরিয়া বঙ্গদেশের স্বরের মাত্রাতে উঠতে অনেক দিন গেল। ঐ সময়ের মধ্যে যাহারা আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেন, তাহদের অনেকে জিজ্ঞাসা । করিতেন, আমার অসুখ করিয়াছে কি না, নতুবা এত চুপে চুপে কথা আমি ইংরাজ জাতির এই নিৰ্জনবাস ও নিস্তব্ধতার বিশেষ ইষ্টফল । দেখিয়াছি। প্রত্যেক ভদ্র ইংরাজের গৃহে একটি ঘর থাকে, যাহাকে Drawing Room বা বৈঠকখানা বলে। সে ঘরে কেহ শয়ন করে না, তাহা কেবল বন্ধু-বান্ধব অতিথি-অভ্যাগতগণের সহিত সাক্ষাৎ ও আলাপ করিবার ঘর। বাড়ীর লোকে সায়াহিক আহারের পর সেখানে বসিয়াই বিশ্রাম ও গল্পগাছা করেন ; লোকে দেখা সাক্ষাৎ করিতে আসিলে সেই ঘরেই দেখা সাক্ষাৎ হইয়া থাকে। কিন্তু গৃহস্বামীর যে একটী স্বতন্ত্র ঘর থাকে, সেখানে তিনি যখন বাস করেন, তখন সে-ঘরে কেহ যায় না। সে ঘরটিকে তাহার Study বা পাঠাগার বলা হয়। তিনি সেখানে বসিয়া পাঠ ও চিন্তা করিয়া থাকেন। ইহাতেই ইংরাজগণ বড় বড় { طبطود