পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 o সাহেবের হন্তে পতিত হয়। কে তখন রেসিডেন্ট ছিলেন, তাল মনে নাই; বোধ হয়। সার লেপেল গ্রিফিন। তিনি বিজ্ঞাপন পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ শিবনাখ শাস্ত্রী কে ?” উত্তরে শুনিলেন যে একজন বাঙ্গালী ব্রাহ্মধর্ম্ম-প্রচারক। তখন বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “বাঙ্গালীরা কেন এখানে আসে ? এ বক্তৃতা এখানে হইতে পরিবে না।” অগতা তাড়াতাড়ি রাজার অধিকার-মধ্যে একটী স্কুলগৃহ স্থির করিয়া সেখানে হোলকার -তৎপরে আমি ও আমার বন্ধু লছমনপ্রসাদ ২৮শে নভেম্বর মহারাজা হোলকারের সহিত সাক্ষাৎ করি। যতদূর স্মরণ হয়, তিনি দিন ক্ষণ দেখিয়া আমাদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন, এবং কাল পোষাক পরিয়া গেলে পছন্দ করিতেন না বলিয়া আমাদিগকে সাদা কোট পরিয়া যাইতে হইয়াছিল । তিনি আমাদের প্রতি যথেষ্ট সদ্ভাব প্রকাশ করিলেন। আমাদের সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরের ঋণশোধের সাহায্যার্থে ৪০০ শত টাকা এবং আমার ও লছমনের যাতায়াতের ব্যয়নির্ব্বাহার্থ কিছু কিছু টাকা দিলেন। মহারাজা ব্রাহ্মসমাজের উল্লেখ করিয়া বলিলেন, “জবু মৈনে সুন আপলোগোকে বীচুমে ঝগড়া হুয়া, তব মেরা দিল টুট্টি গয়া” অর্থাৎ যখন আমি শুনলাম যে আপনাদের ম” বিবাদ ঘটেছে তখন আমার আশা ভগ্ন হ’য়ে গেল। রাজার কণাগুলি যে ব্রাহ্মসমাজের প্রতি রাজার মন বদলাইয়া গিয়াছে। তিনি তাহার রাজ্যমধ্যে কোনও সভাসমিতি হইতে দিবেন না বলিয়াছেন। শুনিলাম,