পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৮৯,৯০ ] কোকানদায় দ্বিতীয়বার ও গুরুতর পীড়া 880 শুনিলাম, নায়ার ও শূদ্র ৰালিকাদের বিবাহ নাই। বিবাহের বয়স হইলে স্বজাতীয় একটী বালকের সঙ্গে একদিন নামমাত্র বিবাহ হয়, একটা খাওয়াদাওয়া হয় ; কিন্তু তাহা বিবাহ ৰালিলে যাহা মনে হয় তাহা নহে, বিবাহের পরদিন হইতে তাহার সহিত সকল, সম্বন্ধ রহিত হয় । তৎপর কন্যা মাতৃভবনেই থাকে। বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে আত্মীয় স্বজন একজন ব্রাহ্মণ যুবককে আনিয়া তাহার সহিত পরিচিত করিয়া দেন, এবং সেই ব্যক্তিই প্রকৃত পতি হইয়া দাঁড়ায়। রমণী মনে করিলে তাহাকে পরিবর্তন করিতে পারে। কিন্তু সে ব্যক্তি কার্য্যতঃ পতি হইলেও সন্তানদিগের সম্বন্ধে তাহার কোনও দায়িত্ব থাকে না। সে দায়িত্ব তাহদের মাতুলের উপর থাকে, তাহারা মাতুলেরই ধনের অধিকারী হয়। একদিকে যেমন এই নিয়ম, অপরদিকে নাম্বুরী ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে আর-এক অদ্ভুত নিয়ম প্রচলিত আছে । তাহাঁদের মধ্যে প্রথম পুত্র বংশরক্ষার জন্য বিবাহ করে, অপর পুত্রের বিবাহ না করিয়া নায়ার ও শূদ্রজাতীয় স্ত্রীদিগের সহিত এবং আবশ্যক হইলে একাধিক শূদ্র রমণীর সহিত সংগীত হইবার জন্য থাকে। ইহার ফল। এই হইয়াছে যে অনেক ব্রাহ্মণকন্যাকে পতি অভাবে চিরকৌমার্য্য ধারণ করিতে হয়। নায়ার নারীদিগের সহিত নাম্বুরী ব্রাহ্মণদিগের মিলিত হওয়া সেদেশে এরূপ স্বাভাবিক প্রথা হইয়া দাড়াইয়াছে যে, একদিন একজন নােয়র ভদ্রলোক আমার সহিত কথা কহিতে কহিতে নিজের দেহের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহিলেন, “আমার এই দেহে ব্রাহ্মণের রক্ত আছে” !” কোকানদায় দ্বিতীয়বার ও গুরুতর পীড়া -কালিকট হইতে পুনরায় কোইম্বা টুর গমন করি, ও তৎপর ত্রিচিনপল্লী ও বাঙ্গালোর হইয়া *শে অক্টোবর, মাত্মাজে ফিরিয়া আসি। তখন কিছুকাল থাকিয়া ***ওয়াদী মসুলিপটম ও রাজমহেন্দ্রী হইয়া ১৮ই নভেম্বর কোকানদাতে RR