পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»vd>-» o v ) ১৯০৪ সালে সমগ্র ভারত ভ্রমণ 8Վ»»: বহুমুত্র রোগের আক্রমণ --প্রসন্নময়ী চলিয়া গেলেন। এদিবে। সেই বৎসরেই আমাকে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি নিৰ্বাচন করাতে আমাকে গুরুতর পরিশ্রম করিতে হইয়াছিল। সেই পরিশ্রম ও দুশ্চিন্তাতে প্রসন্নময়ী চলিয়া যাওয়ার কিছুদিন পরেই আমার বহুমূত্র রোগ প্রকাশ পাইল। তদবধি আর বসিয়া নিরূদ্বিগ্নচিত্তে কাজ করিতে পারিতেছি না। বৎসরের মধ্যে কয়েকমাস স্বাস্থ্যের জন্য সিমলা, দাৰ্জিলিং, কটক, পুৱী প্রভৃতি স্থানে থাকিতে হইতেছে। : s ১৯০৪ সালে সমগ্র ভারত ভ্রমণ -এই অস্বাস্থ্যের অবস্থাতেও যথাসাধ্য সমাজের কাজ করা আবশ্যক হইতেছে। কিন্তু অনেক সময় সহরে না থাকাতে সাধনাশ্রমের কাজের ক্ষতি হইয়াছে। এই পীড়িত অবস্থাতেও একবার ইচ্ছা হইল যে সমুদয় ভারতবর্ষ প্রদক্ষিণ করিয়া আসি। তদনুসারে ১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পত্নী বিরাজমোহিনীও আশ্রমসংসৃষ্ট শ্রীমান হেমেন্দ্রনাথ দত্তকে লইয়া ভারত ভ্রমণে বহির্গত হই। বহির্গত হইবার সময় সংকল্প করি যে যাত্রার সাহায্যের জন্য বিশেষভাবে কাহারও নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিব না। যাত্রার পূর্বে মন্দিরে ব্রাহ্মধর্ম্মের প্রচার বিষয়ে একটা বক্তৃতা করিব। সেই বক্তৃতাস্থলে একটা ভিক্ষার বুলি থাকিবে, স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া তাহাতে যিনি যাহা ফেলিয়া দিতে চান দিবেন, তাহাই । আমাদের যাত্রার পাথেয়াস্বরূপ হইবে। তদনুসারে বক্তৃতার দিন একটী ফুলি ঝুলাইয়া দেওয়া হইল, তাহাতে বন্ধুরা যিনি যাহা ফেলিয়া দিলেন, তাহা লিইয়াই আমরা বহির্গত হইলাম। পথে একবারমাত্র ভিক্ষণ না করার নিয়মের ব্যাঘাত করিয়াছিলাম। এলাহাবাদে একজন ব্রাহ্ম বন্ধুকে আমাদের ঈষ্ঠ ভিক্ষা করিবার অনুমতি দিয়াছিলাম। সেখানে কিছুই হইল না। *** আমরা ভিক্ষণ করা একেবারে বন্ধ করিলাম। কাহাকেও স্বামীদের অভাব জনাইতাম না ; যিনি যাহা স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া দিতেন। আঁইই গ্রহণ করিতাম। এইরূপে আমাদের ব্যয়নিৰ্বাহ হইত। আমরা