পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\,R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত ' [ ২৩শ পরি: আগ্রা, দিল্লী, লাহাের, রাওলপিণ্ড, ইন্দোর, বােম্বাই, মাঙ্গালোর, কালিকট, কোইঘাটুর, বাঙ্গালোর, ত্রিচিনপলী, মাম্রাজ, বোম্বাই, নাগপুর হইয়া কলিকাতায় ফিরিলাম। কাহারও নিকট কিছু ভিক্ষা না করিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত দানের দ্বারা আমাদের এই বিস্তীর্ণ ভ্রমণের সমুদয় ব্যয় সুচারুরূপে নিৰ্বাহ হইয়া গেল । অন্ধ, কনফারেন্সের সভাপতি হইয়া কোকনদী গমন - তাহার পর আর এত দূর ভ্রমণ করি নাই। বিগত বৎসর অর্থাৎ ১৯০৭ সালের মার্চ মাসে Andhra Conferenceএ সভাপতির কার্য্য করিবার জন্য একবার কোকানদাতে যাই । সেখান হইতে কলিকাতাতে ফিরিয়া আসিয়া শরীরটা বড় খারাপ হয়। সেই অবস্থাতে বায়ুপরিবর্তনের জন্য ১৯০৭ সালে গুরুতর পীড়া ।--দাৰ্জিলিং হইতে পিতাঠাকুর মহাশয়ের গুরুতর পীড়ার সংবাদ পাইয়া সত্বর গ্রামে যাইতে হয়। তিনি ১৭ই জুন দিবসে আমি গুরুতর পীড়াতে পতিত হই। এই পীড়াতে কয়েকবার জীবন সংশয় হইয়াছিল। যাহা হউক, ঈশ্বরকৃপাতে 84 भ* রোগশয্যায় যাপন করিয়া উঠিয়াছি। সেই পীড়ার শেষ ফল এখনও রহিয়াছে ; আজিও (৫ই জুন ১৯০৮) সম্পূর্ণ সুস্থ ও সবল হইতে পারি নাই। আগামী ১৭ই জুন হইতে, আবার কার্য্যারম্ভ করিব, ভাৰিতেছি। পাইয়াছি। নবশক্তির সঙ্গে সঙ্গে অনেক নূতন ভাব মনে আসিয়াছে। অবশিষ্ট যে কয়েক বৎসর জগতে থাকি, নূতন ভাবে কাটাইবি মনে করিতেছি। ঈশ্বর এই শুভদাংকরের সহায় হউন। unuanouanunumoureumanio