পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8۹۲ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [에 থাকে। তাহারা সংসারের খারাপটা সহজে দেখিতে পায় না ; সৎপথে থাকিয়াই কািন্ধত হয় । “অকৃত্রিম” কথাটী এই জন্য ব্যবহার করিতেছি যে, অনেক 尔 এমন অনেক পিতামাতা দেখিয়াছি, যাহারা ইংরেজ লেখক ডিকেন্সে (Dickens ) বর্ণিত গুরুমহাশয়ের ন্যায়, নিজেরা মাংসখণ্ড মুখে পূরস্ক চিবাইতে চিবাইতে শিশুদিগকে উপদেশ বলেন, “দেখ শিশুগণ, লোভ দমন চরিত্রের উন্নতির প্রথম সোপান” । অর্থাৎ, তাহারা জানিয়া রাখিয়াছেন, শিশুদিগকে মুখে উপদেশ দেওয়া পিতামাতার কর্ত্তব। মুখে বড় কথা বলিতে হইবে, মুখে অধর্ম্মের প্রতি ঘৃণা ও সাধুতাঃ প্রতি আদর দেখাইতে হইবে ; মুখে সত্য বচনে, সত্য ব্যবহারে প্রবৃত্ব করিতে হইবে, কার্য্যতঃ হউক আর না হউক । আমি এরূপ এক জন লোকের কথা জানি, যিনি সস্তানদিগকে এইরূপ মৌখিক উপদেশ দিবা? নিয়ম রাখিয়াছিলেন ; মুখে বড় বড় উপদেশ দিতেন এবং তাহাদিগকে লইয়া ঈশ্বরের নাম করিতেন। কিন্তু এক দিন কোনও ভদ্রলোকের বাগানের মালী নিজ প্রভুর কতকগুলি গাছ চুরি করিয়া বেচিতে আনিল ; স্বল্প মূল্যে সেগুলি পাইয়াই তিনি কিনিতে বসিলেন। তখন উপস্থিত সমাগত একজন ভদ্রলোক তঁহাকে স্মরণ করাইয়া । বলিলেন, “মহাশয়, বুঝিতে পারিতেছেন না, চুরী-করা গাছ ; নতুবা কি এত শাস্তা দেয় ?” তিনি বলিলেন, “তাহা আমি দেখিতে পেলাম কেন ? আমি ত উহাকে প্রলোভন - দিয়া আনি নাই।” এই বলিয়া গাছগুলি