পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Febvr শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত 에 নয়। বৎসর বয়সে কলিকাতায় আসি। আসিয়া সংস্কৃত কলেজে ভর্ত্তি হই। তখন, বিদ্যাসাগর মহাশয় ঐ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। কেবল তাহা নহে, বন্ধুতাসুত্রে আমার মাতুলের সঙ্গে দেখা করিবার জন্য মধ্যে মধ্যে আমাদের বাসাতে আসিতেন। অগ্রেই বলিয়াছি, তিনি আমাকে দেখিলেই হাতের দুই অঙ্গুলি চিমটার মত করিয়া আমার ভূড়ির মাংস আমি সেখান হইতে "নিরুদ্দেশ হাইতাম। কিন্তু তিনি আমাকে বড় ভালবাসিতেন । আসিয়াই আমাকে খুজিতেন, আমার কথা জিজ্ঞাসা করিতেন। আমার বাবাকেও অত্যন্ত ভালবাসিতেন, এবং মাতৃলের সঙ্গে সংস্কৃত ব্যাকরণ লইয়া বিচার উপস্থিত হইলে, বাবাকে ডাকিয়া মীমাংসা করিয়া লইতেন। বাবার ব্যাকরণে বুৎপত্তি বিষয়ে তাহার প্রগাঢ় আস্থা ছিল।, কলেজে। আমরা " তাহাকে ভয়ের চক্ষে দেখিতাম, এবং তঁাহা হইতে দূরে দূরে থাকিতাম। ছেলেরা দুষ্টামি করিলে তিনি ধরিয়া নিজের ঘরে লইয়া যাইতেন, কোণে দাড় করাইয়া রাখিতেন, এবং বইয়ের পাতাকাটা সুইসের দ্বারা তাহদের পেটে মারিতেন। আমার ( ) মনে হয়, আমার কোনও দুষ্টামির জন্য আমাকে ধরিয়া লইয়া ৫। শৰ্মি ভূড়িতে মারিয়াছিলেন, ও“আমাকে কোণে দাড় করাইয়। রাখিয়াছিলেন। আমরা কলেজের ছোট বড় সকল ছেলে বিদ্যাসাগর মহাশয়র্কে একজন ক্ষণজন্ম পুরুষ বলিয়া মনে করিতাম। আমার বেশ মণি ৷ আছে, তিনি যখন ডিরেকটারের সহিত ঝগড়া করিয়া কলেজ ছাড়িলেক, তখন আমরা গবর্ণমেণ্টের উপর মহা চটিয়া গিয়াছিলাম। তিনি দেশ আঁমাদের প্রাণ সঙ্গে করিয়া লইয়া গেলেন। , যোগ হইতে লাগিল। আমি ব্রাহ্মসমাজে যোগ দিলে বাবার যে ",