পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏱᎨ8Ꮔ-ᏩᏬ ] পাখী দেখিতে তন্মনস্কতা w) লাইলেন। নিকটবর্ত্তী এক পুষ্করিণীর ঘাটে লইয়া অঙ্গুলির অগ্রভাগে করিয়া তার মুখে জল দিতে লাগিলেন। সুখের বিষয় পাখীটি মরিল না। তিনি পথের একজন লোককে পাখীটি দিয়া গন্তব্যস্থানের অভিমুখে চলিলেন । আমি পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলাম । আর একবার আমি পথে যাইতেছি, আমার সম্মুখে আর-একজন লোক যাইতেছে। আমি দেখিতে পাইলাম, দূরে আমাদের সম্মুখস্থ রাস্তার পার্শ্বে একটি ছাগল বাধা রহিয়াছে। অমনি ঢ়িল ছুড়িবার প্রবৃত্তি আসিল । বলিতে লজ্জা হইতেছে, ভো করিয়া এক ঢ়িল ছুড়িলাম। সে নিরপরাধ প্রাণী চরিতেছিল, আমার ঢ়িল গিয়া বোধহয় তার মাথায় । লাগিল। বুঝিতে পারিলাম না, কেবল মাত্র দেখিলাম, ছাগলটি একবার ভা করিয়া ডাকিয়া মাটীতে মুখ থুবড়াইয়া-খুবড়াইয়া পড়িতে লাগিল। ঐ দেখিয়াই আমি পশ্চাৎ হইতে চম্পট । আর-এক পথ ধরিয়া পাড়া ঘুরিয়া কিছু পরে গিয়া দেখি, কয়েকজন লোক জুটিয়াছে, ছাগলটাকে শোয়াইয়া জল ঢালিয়া বঁাচাইতেছে ; বোধ হইল ছাগলট মরিবে না। পাখী দেখিতে তন্মনস্কত।—তখন আমি যেমন পীপড়ার গতিবিধি লক্ষ্য করিতাম, তেমনি পাখীর গতিবিধি লক্ষ্য করিতেও । ভালবাস্তািন্ন। “ যদি, দৈবাৎ উঠানে কোনও পাখী আসিত, তাহা হইলে আমি, মা খুড়া জেঠী যে কেহ সে সময় কথা কহিতেন, সকলের মুখ চাপিয়া ধরিতাম, "চুপ কুরু, চুপ কর, পাখী এসেছে।” একবার পাখী দেখিতে গিয়া হাতীর পায়ের মধ্যে পড়িয়া গেলাম। তখন আমাদের গ্রামে পোলবন্দী ইঞ্জিনীয়ার সাহেবের হাতী যাইত ; কারণ, । রেল বা রাস্তা ঘাট ছিল না। একবার আমি পাঠশালে বা স্কুলে যাইবার জন্য বাহির হইয়াছি; দপ্তরটা বগলে আছে ; এমন সময় হঠাৎ একটী নূতন রকমের পাখী দেখিলাম, যাহা পূর্বে কখনও দেখি নাই। সে লেজ তুলিয়া চমৎকার শীস দিতেছে।” আমি চিত্রাপিতের ন্যায় দাড়াইয়া