পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ আবার নিকটে ছুটয় আসে, মুখের দিকে চায়, ডাকে, আবার দৌড়িয়া যায়, আবার দাড়ায়। শেষে বাবা বুঝিলেন যে আমাদিগকে সঙ্গে সাইতে বলিতেছে। তখন আমাদের দুইজন বালককে সঙ্গে যাইতে আদেশ করিলেন। আমরা সঙ্গে গিয়া দেখি একজনেরা আমাদের এগরু বাধিয়া রাখিয়াছে। তাহারা শেয়ালখাকীকে দেখিয়া বলিতে লাগিল,-“ওরে, কুকুরটা আবার এসেছে ; নিজে মাৱ খেয়ে গিয়ে বাড়ীর লোক ডেকে এনেছে ।” এই শেয়ালখাকীর ন্যায় আরও অনেকবার অনেক কুকুর পুষিয়াছি। প্রপিতামহ। --সর্ব্বশেষে আমার প্রপিতামহকে এই কালের মধ্যে যেরূপ দেখিয়াছিলাম, তাহার উল্লেখ কবিয়া এই পরিচ্ছেদের উপসংহার করিতেছি। আমার স্মৃতিশক্তি যতদূর যায়, আমার জ্ঞানােদয় পর্যন্ত আমি তঁহাকে অন্ধ বধির ও বাড়ীর বাহিরে যাইতে অসমর্থ দেখিয়াছি। সে সময়ে বোধ হয় তাহার বয়স ৯৫ বৎসর বয়স ছিল । তিনি খর্ব্বাকৃতি ও কৃশাঙ্গ মানুষ ছিলেন, সুতরাং তঁাহাকে একটা বালকের মত দেখাইত। আমার মা তাহার ধর্ম্মভাব ও সাধননিষ্ঠা দেখিয়া এমনি। মুগ্ধ হইয়া P مدمدم নিকট দীক্ষিত হইয়াছিলেন। তৎপরে কোলের শিশুটির ন্যায় তাহাকে হাতে ঋরিয়া পালন করা আমার মার এক প্রধান কাজ হইয়া দাড়াইয়াছিল। প্রাতে উঠিয়া গলবস্ত্রে, তার চরণে প্রণত হইতেন ; তৎপরে ছোট শিশুটির ন্যায় তার কাপড় ছাড়াইয়া কাচা কাপড় পরাইয়া পূজার আসন ও কোশা-কুশী দিয়া তাঁহাকে সেখানে বসাইয়া দিতেন। বসাইয়া দিয়া নিজের গৃহকর্ম্মে যাইতেন। পূজা অন্তে আমি তার হাত ধরিয়া বসিবার আসনে বসাইয়া দিতাম। } । . . আমাদের বাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একটি ছোট কোটা-ঘর ছিল, তাহার এক অংশে প্রপিতামহ মহাশয় থাকিতেন, আর এক অংশে ঠাকুর