পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R ইষ্টদেবতার চরণে প্রণাম ও প্রার্থনা হইত। এই প্রণাম করিয়া করিয়া তঁর কপালের উপরে একটা আবের মত মাংসের গুলি জমিয়াছিল। মাথা ঠুকিয়া যখন প্রার্থনা করিতেন, তখন আমার মা কান পাতিয়া কোনও কোনও দিন শুনিতেন। একদিন মা শুনিলেন যে তিনি মুখে মুখে বাঙ্গলা ভাষাতে র্তাহার ইষ্টদেবতার চরণে আমার বিদেশবাসী পিতার জন্য প্রার্থনা করিতেছেন। বলিতেছেন, “মা দয়াময়ি, সে বিদেশে প’ড়ে আছে, তাকে রক্ষা ক’রে । সে কাহারও বারণ শোনে না, তাকে সুমতি দেও,” ইত্যাদি । সর্বশেষে উঠিয়া দাড়াইয়া করতালি দিয়া নাচিতেন । নাচিবার সময় আমার ডাক হইত, “বাবা।” আমি তখন দিগম্বরমূর্ত্তি বালক ; মা আমাকে খেলার ভিতর হইতে ধরিয়া আনিতেন, এবং প্রপিতামহের হাতে হাত দিয়া নীচিতে বলিতেন ; আমনি দুইজনে হাতে হাতে ধরিয়া । নৃত্য আরম্ভ হইত। তিনি তিনশত পয়ষট্টি দিন নাচিবার সময় একই গান করিতেন, তাহার দুই পংক্তি মাত্র আমার মনে আছে

  • कृीं छूर्ती दळ उठाठे

দুৰ্গা বই আর গতি নাই।” । মা প্রপিতামহদেবকে আমার ধর্ম্মশিক্ষার দিকে দৃষ্টি এবং প্রতিদিন সন্ধ্যাকালে সায়ংসন্ধ্যার পর কাপড় মুড়ি দিয়া নিজ শয্যাতে বসিয়া আমাকে কোলে লইয়া, মুখে মুখে খর্ম্মেপদেশ দিতেন, দেবতাদের স্তব প্রভৃতি শিখাইতেন, প্রশ্নোত্তরচ্ছলে অবশ্যজ্ঞাতব্য বিষয়-সকল শিখাইতেন। যথা-“প্রপিতামহের নাম কি ?” প্রশ্ন করিয়াই তদুত্তরে বলিতেন, “বল শ্রীরামজয় ন্যায়ালঙ্কার।” আমি বাল্যস্বরে বলিতাম।-- “শ্রীীরামজয় ন্যায়ালঙ্কার,” ইত্যাদি। তৎপরে দেব-দেবীর যে-সকল স্তব মুখস্থ আবৃত্তি করিতেন এবং আমাকে আবৃত্তি করাইতেন, তাহার সকল- “ গুলি মনে নাই। একটী মনে আছে, তাহা এই – –