পাতা:আত্মচরিত (২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ২য় পরিঃ হইতেছে। সে-সকলকে সকলেই পবিত্র চক্ষে দেখিয়া থাকেন। ইহা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, ব্রাহ্ম হইয়া উপবীত ত্যাগের পর, আমার একবার যক্ষ্মারোগের সুচনা হয় ; তখন আমার জননী আমার পরিচর্য্যার জন্য কলিকাতা আসিয়া আমাকে লইয়া কয়েক মাস ছিলেন “ । তিনি। আমার পূজ্য পো-ঠাকলাদাদাব লাঠি, যোগপট্টি ও মালা আনিয়া আমার শয্যাতে রাখিয়াছিলেন ; বিশ্বাস এই ছিল, তাহার গুণে আমি রোগমুক্ত হইব। তিনমাস কাল ঐ-সকল দ্রব্য আমার শয্যা হইতে সরাইতে দেন নাই। তৎপরে এলোক হইতে যাইবার সময় পো-র জপের মালা আমার ভগিনীকে ও তার আহারের বাটি আমাকে দিয়া গিয়াছেন, আমি প্রতিদিন তাহ ব্যবহার করিতেছি । আমি আর কি বলিব, তাহার পর বহুবৎসর চলিয়া গিয়াছে, অনেক মানুষ দেখিয়াছি, নিজে অনেক ভ্রম প্রমাদ কবিয়াছি, কিন্তু যখনই সেই সাধুপুরুষের সেই ধর্ম্মনিষ্ঠার কথা স্মরণ করি, তখনই নিজের দুর্বলতা স্মরণ করিয়া লজ্জাতে অভিভূত হইয়া যাই। বহুবর্ষ পরে যখন আমার মা কঁাদিয়া বলিতেন, “হায় রে, এমন সাধু পুরুষের এত আশীর্ব্বাদ কি বৃথা গেল ?” তখন আমি চক্ষের জল রাখিতে পত্রিতাম না। মনে মনে বলিতাম, “হায় রে, তিনি তঁর ইষ্টদৃেবতা-ক যেমন, অকপটে মা বলিতেন, আমি কেন তেমন করিয়া ঈশ্বরকে ডাকিতে পারি না ?” । উপনয়ন —ক্রমে আমি নােম বৎসর আসিয়া উপনীত হইলাম । নবম বৎসরে আমার উপনয়ন হইল। উপনয়নান্তে পো নিজে আমাকে সন্ধ্যা আহিক শিখাইতে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং নিজের নিকট লইয়া প্রতিদিন সন্ধ্যা করাইতে লাগিলেন । । কলিকাতা যাত্রা ; মাতা ও ভগিনীর ক্রন্দন।-ইহার অল্প দিন পরেই, বাবা আমাকে কলিকাতায় আনিলেন। সেদিনকার কথা tra "ब्रिट ' C 1