পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৫৬-৬১ ] কলিকাতায় নানা স্থানে বাস ও কষ্ট ভোগ trS সামান্য গোলপাতার ঘর ভাষা করিয়া থাকিতেন। এরূপ স্থির রহিল। যে তিনি প্রাতে ও আমি বৈকালে পাক করিব। কিন্তু কার্য্যকালে এই দাড়াইল যে আমাকেই দুই বেলা পাক করিতে হইত। কেবল তাহা নহে ; বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া, বাজার করা, জল তোলা প্রভৃতি সমুদয় কাজ আমার উপর পড়িয়া গেল। অনেক সময় আমাকে বাম হস্তে পাঠ্য পুস্তক ও দক্ষিণ হস্তে ভাতের কাঠি লইয়া রন্ধন ও পাঠ এক সঙ্গে চালাইতে হইত। আমি বহু কাল পরে সেই সময়কার একখানি পুস্তক পাইয়াছি, তাহাতে বাম হস্তের হলুদের দাগ এখনও রহিয়াছে। অনুমানে বোধ হয়, বাটুনা বাটিয়া তৎপরে সেখানি পড়িবার জন্য লইয়াছিলাম, সেই জন্য হলুদের দাগ লাগিয়াছে। এই স্থানে কিছু দিন বাসের পর আমার পিতা আসিয়া আমাকে কলিকাতার উপনগরবার্ত্তী ভবানীপুরে স্বৰ্গীয় মহেশচন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের বাটীতে রাখিয়া গেলেন ।