পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬২-৬৭ } ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আকর্ষণের হেতু ኴፖዓ ব্রাহ্মসমাজে যাইতে লাগিলাম। আমি বোধ হয় ১৮৬২ সালে ভবানীপুরে शांशे ; Fo, Artfor Destiny of Human Life fRR Corris যে ইংরাজী বক্তৃত হয় তাহ শুনিছিলাম। তদ্ভিন্ন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বৰ্গীয় অযোধ্যানাথ পাকড়াশী, মহাশয় এখানকার ব্রাহ্মসমাজে ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপন করিয়া যে উপদেশ দিতেন তাহার কতকগুলিও শুনিয়াছিলাম। তখন হইতে ব্রাহ্মসমাজের দিকে মনে মনে একটু আকর্ষণ হয় । ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আকর্ষণের হেতু।—এই আকর্ষণের আরও দুইটি কারণ ছিল। প্রথম, ভবানীপুরে আমার এক সহাধ্যায়ী বন্ধু থাকিতেন, তঁহাকে আমি অতিশয় ভালবাসিতাম। তঁহার জ্যেষ্ঠ সহোদর ব্রাহ্ম ছিলেন ; তিনি আমাকে আতিশয় ভালবাসিতেন এবং সমাজে যাইতে বলিতেন। মজিলপুরে ব্রাহ্মধর্ম্মের আন্দোলন —দ্বিতীয়তঃ, আমাদের বাসগ্রামে যে ইতিপূর্বেই ব্রাহ্মধর্ম্মের আন্দোলন উঠিয়াছিল ও শিবকৃষ্ণ দত্ত নামে এক জন যুবক সর্ব্বপ্রথম ব্রাহ্মধর্ম্মের বার্ত্তা আমাদের গ্রামে লইয়া যান, তাহা পূর্বেই * বলিয়াছি। তঁহার পিতা ব্রজনাথ দত্ত এক জন উদারচেতা বিষয়ী লোক ছিলেন ; পণ্ডিতগণের সহিত সর্ব্বদা শাস্ত্র আলোচনা করিতে ভালবাসিতেন। তিনি কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের প্রকাশিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা লইতেন, ইহাও পূর্ব্বে বলিয়াছি। সে সময়ে আমাদের গ্রামের বড় উন্নতির অবস্থা ছিল । সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের অন্যতম আচার্য্য আরাধ্য ভক্তিভাজন উমেশচন্দ্র দত্ত, শ্রদ্ধেয় বন্ধু কালীনাথ দত্ত, হরনাথ বসু, রমানাথ ঘোষ প্রভৃতি শিবকৃষ্ণ দত্তের দৃষ্টান্ত ও প্রভাবে ব্রাহ্মধর্ম্মের অনুরাগী হইয়া ব্রাহ্মধর্ম্ম অনুসারে अश्नांति করিতে অগ্রসর হইয়াছিলেন । সেজন্য গ্রামে মহা আন্দোলন ও এই যুবকদিগের প্রতি মহা নির্য্যাতন Ra, \o?à দেখ । fi