পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নির্বাসিতের বিলাপ’ রচনা S ord“ 1 3 و - جاوة والا চৌধুরী মহাশয়দিগের আশ্রয়ে আমি থাকি,তাম, তাহারা সকলেই সাধু সদাশয় লোক ছিলেন, তাহাদের বিমল চরিত্রের প্রভাব আমাকে অনেক পরিমাণে গঠন করিয়াছে। তঁহাদের এক জন স্বসম্পৰ্কীয় লোক ছিলেন, তিনি মধ্যে মধ্যে আসিয়া আমাদের সঙ্গে দুই চারি দিন যাপন করিতেন। তিনি একটি সওদাগর আপীসে একটি বড় পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ; অনেক টাকা উপাৰ্জন করিতেন এবং छुछ्रे হস্তে ব্যয় করিতেন। বন্দুক ছোড়া, শিকার করা, সদলে নৌকাযোগে জল পথে বিচরণ করা, প্রভৃতি আমোদে অনেক টাকা ব্যয় করিতেন । এই সব কারণে তিনি আমার ন্যায় যুবকদের চক্ষে একটা ‘হিরো’র মত ছিলেন। কিন্তু তাহার একটু দোষ ছিল, তিনি সুরাপান করিতেন। এক বার অপরাপর কয়েক ব্যক্তির সহিত র্তাহার সঙ্গে গঙ্গার চড়াতে কয়েক দিন বাস করিতে গিয়াছিলাম । প্রতি দিন পাখী শিকারের সময় সঙ্গে যাইতাম, কিন্তু তঁাহাকে কখনও মাতাল অবস্থাতে দেখি নাই । যাহা হউক, তিনি আমাদিগকে সর্ব্বদাই সুরাপান কারবার জন্য প্ররোচনা করিতেন ; বলিতেন, পরিমিত সুরাপান করিলে শরীর ভাল থাকে, মনে স্ফর্ত্তি থাকে, কাজের শক্তি বাড়ে, ইত্যাদি। আমার যেন স্মরণ হয় যে, তাহার প্ররোচনায় এক দিন কি দুই দিন একটু একটু সুরাপান করিয়াছিলাম। কিন্তু কি আশ্চর্য্য জগদীশ্বরের কৃপা ! তৎপরেই মনে মহা নিৰ্বেদ উপস্থিত হইল। প্যারীচরণ সরকার মহাশয়কে, মাতুল মহাশয়কে ও পিতাঠাকুরকে স্মরণ করিয়া মহা লজ্জিত হইলাম, এবং সুরাপান নিবারণের জন্য দুৰ্জয় প্রতিজ্ঞায় দৃঢ় হইলাম। তদবধি আমি সুরাপান নিবারণের পক্ষে রহিয়াছি। “নির্বাসিতের বিলাপ’ রচনা।—মহেশচন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের বাড়ীতে থাকিতে থাকিতে ১৮৬৫ কি ১৮৬৬ সালে ভবানীপুরের একটি ভদ্র সন্তান কোনও গুরুতর অপরাধে দ্বীপান্তরে প্রেরিত হয়। সেই