যোগেনদের জন্য গুরুতর শ্রম ð RO { هن وراوه والا আমার হৃদয় হইতে কে যেন দশ মণ বোঝা নামাইয়া লইল। আমি ছাপ ছাড়িয়া বাচিলাম। তঁহাকে বলিল্লাম, “আমার বাবাকে এই কথা লিখুন।” তিনি বাবাকে লিখিলেন যে, সে প্রকার অনুরোধ তাহার খারা হইতে পারে না । আমি তাহদের সাহায্য করিতে বাধা । গুরুতর শ্রম। --যোগেনদের বিবাহের পর তাহাদের জন্য আমার গুরুতর শ্রম আরম্ভ হইল । এই পরিশ্রমের মধ্যে এক বার আমি কয়েক দিন বিশ্রাম করিবার জন্য যোগেন ও মহালক্ষ্মীর নিকট বিদায় লইয়া মাতুলালয়ে গেলাম। দুই তিন দিন মাতুলালয়ে মাতামহীর কাছে আছি, এমন সময় একু দিন রাত্রি দশটার সময় ঈশানের এক জরুরি টেলিগ্রাম পাইলাম, “এখানে তোমার উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন, অবিলম্বে এস।” তখন কি করি ! রেলওয়ে ষ্টেশন মাতুলালয় হইতে দুই তিন মাইল দূরে। মাঠ দিয়া ষ্টেশনে যাইতে হয় ; কিন্তু তখন সমুদয় মাঠ। জলে প্লাবিত, পথ পাওয়া দুষ্কর। মাতামহী ঠাকুরাণী ও মামীম বারণ করিতে লাগিলেন । আমি মহা চিন্তার মধ্যে পড়িলাম। কিন্তু বড় মামা বলিলেন, “জরুরি টেলিগ্রাম যখন করিয়াছে, তখন নিশ্চয় কোনও বিপদ ঘটিয়াছে ; তুমি যাও । রাত্রি শেষে ৩টা কি ৩৷০টার সময় একটা টেন আছে, সেই টেনে যাও।” আমি তঁহার উপদেশে সেই রাত্রেই যাত্রা করিলাম। তিনি আমার সঙ্গে এক চাকর ও লণ্ঠন দিলেন । আমি জল ভাঙ্গিয়া কোন প্রকারে রাত্রি ১২টার সময় ষ্টেশনে পৌছিলাম, এবং সমস্ত রাত্রি জাগিয়া কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইলাম। আসিয়া শুনি, আমি মাতুলালয়ে গেলে তৎপর দিন যোগেনের মা হঠাৎ কলিকাতায় আসিয়া উপস্থিত হইয়াছেন ; যোগেনকে তঁহার আত্মীয়গণ ধরিয়া লইয়া গিয়াছেন ; ও গত কল্য প্রাতঃকাল হইতে কোনও না কোনও ছলে তাহাকে আটকাইয়া রাখিয়াছেন। সকলে মিলিয়া এই স্ত্রীকে