পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৫ম পরিঃ কাশী হইতে আসিয়াছিলেন। তিনি যখন আমার গলা छऊद्देश हिन्ना “বাবা রে, এত ক’রেও বাচাতে পারলি না রে” বলিয়া চীৎকার করিয়া কঁদিতে লাগিলেন, যোগেন বালিশে মুখ গুজিয়া পড়িয়া রহিলেন, এবং ঈশান পাগলের মত’ ঘর হইতে বাহির বাহির হইতে ঘর করিতে লাগিলেন ; তখন আমি আর মহালক্ষ্মীর জন্য কাদিব কি ? ইহাদিগকে লইয়া ব্যস্ত হইয়া পড়িলাম। সেই ক্ষেত্রেই সংবাদ আসিল যে, আমি এল এ পরীক্ষায় ifistfitist First grade স্কলারশিপ ৩২২, ইংরাজী ও সংস্কৃতে ইউনিভার্সিটিতে সৰ্বোচ্চ স্থান অধিকার করাতে ডফ (Duff) স্কলারশিপ ১৫২, ও সংস্কৃত কলেজের প্রথম স্কলারশিপ ১২২-সর্ব্ব সমেত। ৫৯২ টাকা বৃত্তি পাইয়াছি। যাহাদিগের জন্য সংগ্রাম করিতেছিলাম। জগদীশ্বর তাহাদিগকে সরাইয়া লইলেন ভাবিয়া আমার চক্ষে জল ধারা বহিতে লাগিল। কিন্তু তখন বুঝি নাই যে তিনি অন্য এক সংগ্রামের জন্য পূর্ব হইতেই উপায় বিধান করিলেন। সে সংগ্রাম ব্রাহ্মধর্ম্মে দীক্ষা ও পিতৃগৃহ হইতে নির্বাসন। তাহার বিবরণ পরে বলিব । মহালক্ষ্মী চলিয়া গেলে, যখন তাহার মা আমার গলা জড়াইয়া কাদিয়া বলিলেন, “বাবা, তুমিও কি আমাদিগকে ছেড়ে যাবে ?” তখন আর তঁহাদিগকে ছাড়িতে পারিলাম না। ভবানীপুর ছাড়িয়া আসিয়া তঁহাদের সঙ্গে আবার কয়েক মাস রহিলাম। কিন্তু ইহার কিছু দিন পরেই যোগেনের বাসা ভাঙ্গিয়া গেল ; আমরা স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র স্থানে পড়িলাম ; আমাদের জীবনের গতিও পৃথক হইয়া দাড়াইল। মহালক্ষ্মীর শোকট আমার বড়ই লাগিয়াছিল। গুরুতর শ্রমের ফলে পীড়া -মহালক্ষ্মী চলিয়া গেলে, পাঠে গুরুতর শ্রমের ফলস্বরূপ আমার এক প্রকার পীড়া দেখা দিল। অতিরিক্ত দুর্বলতার সঙ্গে সর্বাঙ্গে সাদা সাদা চাকা চাকা এক প্রকার ফোলা মাংস দেখা দিল ; সে গুলিতে আঘাত করিলে বেদন অনুভব করিতে পারিতাম