বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬৮, ৬৯ ] উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহ দেওয়া Y 9 না। কোন কোন ডাক্তার দেখিয়া বলিলেন, কুষ্ঠ ব্যাধি হইবার উপক্রম। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার আমাকে অতিরিক্ত শ্রমের জন্য তিরস্কার করিয়া, ছয় মাস কাল তন্মনস্ক হইয়া চিকিৎসা করিলেন, এবং আমাকে রোগমুক্ত করিয়া তুলিলেন। উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহ দেওয়া।-অতঃপর উপেন্দ্রনাথ দাসের বিধবাবিবাহের বিবরণ লিখিতেছি। এই ঘটনাটি বোধ হয় ১৮৬৮ সালের মধ্য ভাগে ঘটিয়াছিল। হাইকোর্টের উকীল বাবু শ্রীনাথ দাসের জ্যেষ্ঠ পুত্র উপেন্দ্রনাথ দাস তখন কলিকাতায় যুবক রিফর্ম্মারদের মধ্যে এক জন প্রধান ব্যক্তি। তৎপূর্বে তিনি মান্দ্রাজ হইতে ফিরিয়া আসিয়া Indian Radical League Rica (4t is stir (ift Wiets সভাপতিরূপে কার্য্য করিতেছিলেন। এরূপ জনশ্রুতি যে, কোনও পারিবারিক কারণে স্বীয় পিতার সহিত বিবাদ করিয়া উপেন্দ্র মান্দ্রাজে পলায়ন করেন। মান্দ্রাজ হইতে আসিয়া উৎসাহের সহিত যুবক সংস্কারকদিগের নেতা হইয়া দাড়ান। যোগেন যখন বিধবাবিবাহ করিলেন, তখন উপেন যোগেনকে ও আমাকে এক দিন নিজ সভাতে উপস্থিত করিয়া সর্ব্বসমক্ষে বিশেষ সন্মানিত করিলেন। যুবকগণের করতালি ধ্বনিতে আমাদের লাঙ্গুল স্ফীত হইয়া উঠিল। আমরা মস্ত একটা রিফর্ম্মার হইয়া দাড়াইলাম। উপেন সংস্কৃত কলেজের ছেলে, আমরাও সংস্কৃত কলেজের ছেলে ; সুতরাং এই সময় হইতে উপেনের সহিত আমাদের একটা ঘনিষ্ঠত জন্মিল। যোগেন উপেনের কাছে। যাইবার জন্য সময় বড় পাইতেন না, কিন্তু আমি ও উমেশচন্দ্র মুখুয্যে দুজনে সর্ব্বদা তঁহার বাড়ীতে যাইতাম ও উপেনের মুখনিঃসৃত ইউরোপীয় ফিলজফি ও সংস্কারের সুসমাচার হা করিয়া গলিতাম। সময়ে সময়ে আমি উপোনের বাড়ীতে রাত্রি যাপন করিতাম। তাহার সহিত একটু বিশেষ যোগ হইবার কারণ ছিল। আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে পুনৰ্বার বিবাহ দিবার যে খেয়াল এ সময়ে আমার