à(to শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ૭છે পরিঃ ছিলাম, সে কয়েক বৎসর কার্য্যের ভিড়ে পড়িয়া আমার এই বুভূক্ষাকে সম্পূর্ণ চরিতার্থ করিতে পারিতাম না। আবার এত দিনের পরে সেই বুভুক্ষণ প্রাণে জাগিয়া উঠিতেছে। কিন্তু হায় । আর সে শক্তি নাই। এখন মনে হয়, আবার যদি যৌবনের শক্তি পাই ও মনের মত’ লাইব্রেরি পাই, এক বার প্রাণ ভরিয়া পড়ি । ১৮৬৭ সাল পর্য্যন্ত আদি ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকর্ষণ । -আমার ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজের প্রতি আকর্ষণ ১৮৩৫ সাল হইতে জন্মিলেও আমি এত দিন পর্য্যন্ত লজ্জাবশতঃ কিরূপে ব্রাহ্মসমাজ হইতে দূরে দূরে থাকি,তাম, তাহা অগ্রেই বলিয়াছি। যত দূর মনে হয়, ১৮৬৭ সাল পর্য্যন্ত কেশবচন্দ্রের উন্নতিশীল দল অপেক্ষা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আদি সমাজের দিকেই আমার অধিক আকর্ষণ ছিল। আমার যত দূর স্মরণ হয়, আমার জ্ঞাতি দাদা হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন ( যিনি আদি সমাজের ব্রাহ্ম ও তত্ত্ববোধিনীর সম্পাদক ছিলেন। এবং আমার নিকট সর্বদা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের প্রশংসা ও উন্নতিশীল ব্রাহ্ম দলের নিন্দ করিতেন, ) তিনিই এই আকর্ষণের প্রধান কারণ ছিলেন। আমার মাতুল স্বৰ্গীয় দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণও উন্নতিশীল দলের পক্ষে ছিলেন না ; তাহাও একটা কারণ হইতে পারে। সেই কারণে উন্নতিশীলদের কথাবার্ত্ত কাজকর্ম্ম যেন ভাল লাগিত না । বস্তুতঃ উন্নতিশীল দলের সঙ্গে আমি অধিক সংশ্রব রাখিতাম না । তবে পৌত্তলিকতা ও জাতিভেদ ত্যাগ করিতে नृpअङिङ হইয়াছিলাম। ১৮৬৮ সালে উন্নতিশীল দলের মাঘোৎসবে যোগদান।— ১৮৬৮ সালের প্রারম্ভ আ ব্ধি উন্নতিশীল ব্রাহ্ম দলের সহিত যোগ কিঞ্চিৎ গাঢ়তার হয়। তাহা এই প্রকারে ঘটে। ঐ বৎসরের প্রারম্ভে শুনিলাম, মাঘোৎসবের সময় উন্নতিশীল দল আপনাদের উপাসনা মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করিবেন এবং তদুপলক্ষে নগরকীর্ত্তন হইবে। এই সংবাদে আমার মাতুল ।