*RУ o শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৯ম পরিঃ আশ্রমে থাকিতেন। হরনাথ বাবু মন-খোলা, মহোৎসাহী মানুষণ ছিলেন । আয় অল্প ও ব্যয় বহু হওয়াতে তঁহার আয়-ব্যয়ের সমতা কখনই ছিল না। তিনি সপরিবারে আশ্রমে ছিলেন, কিন্তু দেনাদার হইয়া পড়িয়াছিলেন। আশ্রমের অধ্যক্ষ মহাশয় পীড়াপীড়ি করাতে তিনি আশ্রম হইতে স্ত্রীপুত্রদিগকে নিজের শ্বশুর বাড়ী প্রেরণ করা স্থির করিলেন। কিন্তু যাইবার সময় আশ্রমের দেনা দিয়া যাইতে পারিলেন না। র্তাহার পত্নী বিনোদিনী পুত্র কন্যা সহ গাড়ী করিয়া আশ্রম হইতে চলিয়া যাইতেছেন, এমন সময় আশ্রমের অধ্যক্ষ মহাশয়ের আদেশ ক্রমে ভূত্যেরা আসিয়া দ্বারে গাড়ি অবরোধ করিল, দেন শোধ না করিলে গাড়ি যাইতে দিবে না। বিনোদিনী আপনাকে অপমানিত বোধ করিয়া কঁদিতে লাগিলেন ; এবং আপনার গাত্র হইতে গহনা খুলিয়া দিলেন। তৎপরে তঁহাদিগকে ছাড়িয়া দেওয়া হইল । হরনাথ বাবু উত্তেজিত হইয়া বিনোদিনীর নাম দিয়া এই ঘটনার বিবরণ ‘সাপ্তাহিক সমাচার” নামক এক ব্রাহ্ম বিরোধী সাপ্তাহিক পত্রে প্রকাশ করিলেন। দেশীয় সংবাদপত্র সকল একে চায়, আরো পায়। তাহারা একেবারে আশ্রমের ও কেশব বাবুর দলের বিরুদ্ধে ঘোর আন্দোলন তুলিয়া দিল। সময় বুঝিয়া অত্যগ্রসর দলের এক ব্রাহ্ম যুবক আশ্রমের প্রতি কটাক্ষ করিয়া এক ঘোর কুৎসাপূর্ণ পত্র সাপ্তাহিক সমাচারে প্রকাশ করিলেন। তখন কেশব বাবু বাধ্য হইয়া সাপ্তাহিক সমাচারের বিরুদ্ধে আদালতে মোকদ্দমা উপস্থিত করিলেন। যত দূর স্মরণ হয়, সে মোকদ্দমা আপোষে নিষ্পত্তি হইল। এই বিবাদের সময় আমি হরনাথ বাবু ও র্তাহার স্ত্রীকে সংবাদপত্রে যাওয়ার জন্য অনেক তিরস্কার করিয়াছিলাম, এবং মোকদ্দমার বিষয়ে কেশব বাবুর পক্ষে ছিলাম। কিন্তু এই আন্দোলন হইতে আর এক আন্দোলন উঠিয়া পড়িল । বিনোদিনীকে দ্বারাবিরোধ করিয়া অপমান করাতে যুবক ব্রাহ্ম দল,