পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৯ম পরিঃ باچR দুই জনে এই লইয়া হাসাহাসি হইতেছে, এমন সময় আমি স্কুল হইতে আসিয়া উপস্থিত। আমিও এই কথা শুনিয়া খুব হাসিতে লাগিলাম। প্রসন্নময়ীকে বলিলাম, “তোমার মত স্ত্রী নিয়ে ঘর করা কিছুই কষ্টকর নয় ; বেশ বুদ্ধি বার করেছ তা! যা হোক, আমাকে বললে আমি আয়না এনে দিতে পারতাম।” প্রসন্নময়ী। তোমার টাকার টানাটানি যাচ্ছে কি না, তাই बलि नि । কিয়ৎক্ষণ পরেই ব্রহ্মময়ী চলিয়া গেলেন । আমরা ভাবিলাম। তিনি বাড়ী গেলেন । কিন্তু এক ঘণ্টার মধ্যেই এক প্রকাণ্ড আয়না লইয়া আসিয়া উপস্থিত। বলিলেন, “এটি আমার উপহার ; নিতেই হবে।” এমন ভাবে, এমন আগ্রহের সহিত এ কথা বলিলেন যে, আমরা আর “ন’ বলিতে পারিলাম না ; মন একেবারে মুগ্ধ হইয়া গেল। পরে জানিলাম, আমাদের বাড়ী হইতে আর বাড়ীতে যান নাই, একেবারে বেণ্টিক ষ্ট্রীটে গিয়া, এক জানা দোকান হইতে আয়নাখানি কিনিয়া আনিয়াছেন । ব্রহ্মময়ীর জন্য দুর্গামোহন বাবুর বাড়ী আমার জুড়াইবার স্থান ছিল। সপ্তাহের মধ্যে প্রায় প্রতি দিন বৈকালে স্কুল হইতে আসিয়া ব্রহ্মময়ীর কাছে। যাইতাম। গিয়া দেখিতাম, বসিবার ঘর চেয়ার কোচ টেবিল প্রভৃতি দিয়া সুন্দর রূপে সাজান ; কিন্তু ব্রহ্মময়ীর সেদিকে দৃষ্টি নাই, তিনি মেজের উপরে মাটিতে বসিয়া সমাগত কয়েকটি মেয়েকে পাশে বসাইয়া গল্প করিতেছেন। এক দিনকার একটি ঘটনা বলি। এক দিন একটি মেয়ে গল্পচ্ছলে বলিলেন, মিউনিসিপ্যাল মার্কেটে বেশ লিচু উঠিয়াছে, তঁরা আনাইয়া খাইয়াছেন। ইহার পর কথাবার্ত্তার মধ্যে ব্রহ্মময়ী এক বার উঠিয়া গিয়াছিলেন, ত্বরায় আসিলেন। তৎপরে আবার কথায় বার্তায় হাসাহাসিতে সময় যাইতে লাগিল। ইতিমধ্যে মিউনিসিপ্যাল মার্কেট