S४१8-१७ ] ব্রহ্মময়ীর মৃত্যু ; নগেন্দ্র বাবুর অর্থকষ্ট্র হইতে বড় বড় লিচু আসিয়া উপস্থিত। ব্রহ্মময়ী মেয়েদিশকে বলিলেন, “খাও, লিচু খাও।” ইহা লইয়া হাসােহাসি পড়িয়া গেল। র্তাহার বাড়ীতে পদাৰ্পণ করিলেই তিনি র্তাহার আশ্রিত মেয়েদের কাহার জন্য কি করা কীর্ত্তব্য, আমাব সঙ্গে সেই পরামর্শে প্রবৃত্ত হইতেন। অধিকাংশ দিন সন্ধ্যার সময় নিজের হাতে আমাকে কিছু না খাওয়াইয়া ছাড়িতেন না । ব্রহ্মময়ীর মৃত্যু।—এই ব্রহ্মময়ী ১৮৭৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া গেলেন। তঁহার মৃত্যুতে আমরা সকলেই, বিশেষতঃ আমি, মর্ম্মাহত হইলাম। তিনি যখন চলিয়া গেলেন, তঁর এই সকল সদাশয়তার স্মৃতি আমার মনে জাগিতে লাগিল এবং আমাকে শোকার্ত্ত করিতে লাগিল। তঁহার স্বৰ্গারোহণের পর আমরা এক মাস কাল প্রতি দিন সন্ধ্যার সময়, তঁহার ভবনে মিলিত হইয়া তীহাকে স্মরণ করিয়া ব্রহ্মোপাসনা করিতে লাগিলাম। এই সময়ে আমি উপাসনার অনুকুল অনেকগুলি শোকসূচক সঙ্গীত বাধিয়াছিলাম। তাহার অনেকগুলি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের ব্রহ্মসঙ্গীত পুস্তকে উদ্ধত হইয়াছে। ব্রহ্মময়ীর শ্রাদ্ধ বাসরে দুর্গামোহন বাবু বাহিরের কাহাকেও নিমন্ত্রণ করেন নাই । আমাদের ন্যায়। কয়েক জন অন্তরঙ্গ বন্ধু, যাহারা ব্রহ্মময়ীকে ভালবাসিতেন এবং তঁহার পীড়ার মধ্যে দেখিতে আসিয়াছিলেন, তঁহাদিগকেই লইয়া উপাসনা করেন। কিন্তু উপাসনান্তে চক্ষু খুলিয়া দেখি, অনিমন্ত্রিত হইয়াও কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় আসিয়া উপাসনাতে যোগ দিতেছেন। ব্রহ্মময়ীর প্রতি প্রীতি ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা তাহার উদ্দেশ্য ছিল। নগেন্দ্র বাবুর অর্থকষ্ট।—আমার ভবানীপুরে বাস কালে আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয় বড় দারিদ্র্যের মধ্যে পড়িয়া গেলেন। অগ্রেই বলিয়াছি, তিনি ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের সহিত একযোগে কার্য্য করিবেন বলিয়া, কৃষ্ণনগরের কর্ম্ম ছাড়িয়া সপরিবারে