পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•tz१७,११ ] খ্রীষ্টীয়া যুবতী । ミ○> প্রথম, আমি কিয়ৎক্ষণ বসিয়া উঠিতে চাহিলে সহজে উঠতে দিত না । দ্বিতীয়, তাহার মুখে বিষাদের চিহ্ন কিছুই দেখিতাম না। এক দিন সে এ কথা সে কথার পর আমাকে বলিল, “আপনি আমার কষ্ট নিবারণ করতে পারেন। আমি টাকা কড়ির কষ্টের কথা বলছি না ; স্ত্রীলোকের আরও কষ্ট আছে, তারি কথা বলছি।” তখন আমার চোখ যেন একটু ফুটিল। কয়েকটি প্রশ্ন করিয়াই তাহার মুখ হইতে পরিষ্কার রূপে এ কথাটা বাহির করা গেল যে, সে আমাকে অবৈধ প্রণয়ের চক্ষে দেখিতেছে। আমি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাহার ঘরের বাহিরে আসিতেই, সে ভীত হইয়াই হউক কি যে কারণেই হউক, ‘আর একটা কথা আছে” বলিয়া আমার পথ রোধ করিল। আমার প্রথম মনে হইল, গর্জন করিয়া উঠি এবং জোরে তাহার হাত ছাড়াইয়া যাই । কিন্তু কোলাহল ও লোক জানাজানি হইলে একটা কলঙ্কের ব্যাপার হইবে, তাহা ইহার পক্ষে ভাল নয়, এই মনে করিয়া তাত করিলাম না ; বলিলাম, “তোমার কাছে বাঙ্গল বাইবেল আছে ?” (i (StG আমি । সেখানা আন দেখি । সে। তাতে এখন কাজ কি ? আমি। আন না ? একটু প্রয়োজন আছে। সে অনিচ্ছা ক্রমে বাইবেল খানা বাহির করিয়া আমার হাতে দিল । নীশু যেখানে মানসিক পাপাচরণের নিন্দ করিতেছেন, সেই স্থানটা বাহির করিয়া পড়িতে দিলাম। সে কোনও মতেই পড়িবে না, অবশেষে আমি বার বার বলতে পড়িল । আমি । দেখ, তোমরা যাহাকে প্রভু মনে কর, তঁর কি অমূল্য উপদেশ ! তুমি এ উপদেশ। কত বার পাইয়াছ, তবু কেন তোমার এ প্রবৃত্তি ? আর তুমি আমাকে এত খারাপ কিরূপে ভাবিলে ? তোমার