পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ কুচবিহার বিবাহের আন্দোলন । কর্ম্মত্যাগ। সমালোচক ও ব্রাহ্ম পাবলিক ও পিনিয়ন । ব্রাহ্মসমাজ কমিটি। ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের মীটিং। স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপনের পরামর্শ । (১৮৭৮, জানুয়ারী হইতে মে মাস) কুচবিহার বিবাহের প্রথম সংবাদ —মুঙ্গের হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়া শুনিলাম, কেশব বাবু তাহার পৈতৃক ভবনের অংশ বিক্রয় করিয়া, সেই অর্থে মিস পিগটের স্কুলের বাড়ী ক্রয় করিয়া তাহার নাম “কমল কুটার’ রাখিলেন ; এবং সেখানে কুচবিহার পক্ষীয় ঘটকদিগকে তঁহার জ্যেষ্ঠ কন্যা দেখান হইল। কয়েকটি উৎসাহী ব্রাহ্মের বিশেষ ব্রত গ্রহণ —অপর দিকে এই সময়েই কয়েক জন উৎসাহী ব্রাহ্ম মিলিত হইয়া আর এক কার্য্যের সূত্রপাত করিলেন। তাহার একটি ঘননিবিষ্ট দল সৃষ্টি করিবার জন্য উদ্যোগী হইলেন। এইরূপ স্থির হইল, তাহার কয়েকটি মূল সত্যকে জীবনের ব্রতরূপে অবলম্বন করিবেন, এবং তা হাতে স্বাক্ষর করিয়া একটি ঘননিবিষ্ট দলে বদ্ধ হইবেন । তন্মধ্যে কয়েকটি ব্রত প্রধান রূপে উল্লেখযোগ্য। প্রথম, তঁাহার একমাত্র ঈশ্বরের উপাসনা করিবেন। দ্বিতীয়, তঁাহারা গবর্ণমেণ্টের চাকুরী করিবেন না। তৃতীয়, পুরুষের ২১ বৎসর ও কন্যার ১৬ বৎসর পূর্ণ হইবার পূর্বে বিবাহ দিবেন না, বা সেরূপ বিবাহে পৌরোহিত্য করিবেন না। চতুর্থ, জাতিভেদ রক্ষা করিবেন না, ইত্যাদি। আমাকে আমন্ত্রণ করাতে আমি