পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ১১শ পরিঃ ভাল ক’রে মিশ্যতে পারবে না।” যাদব বাবু সেখান হইতে নিরাশ হইয়া আসিয়া কেশব বাবুর কাছে গিয়াছেন। এই সংবাদে কলিকাতার ব্রাহ্ম দলের মধ্যে মহা আন্দোলন উপস্থিত হইল। আমরা স্থির করিলাম যে, এই সঙ্কটে ব্রাহ্মসমাজের অবলন্বিত সত্য সকলকে জোর করিয়া ধরা আমাদের কর্ত্তব্য, এবং তাহা করিবার জন্য কেশব বাবুর কার্য্যের প্রতিবাদ করা কীর্ত্তব্য। যে কেশব বাবু মহা আন্দোলনের পর ১৮৭২ সালের ৩ আইনে বর কন্যার বিবাহের বয়স নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দিয়াছেন, তিনিই তাহা ভাঙ্গিতে যাইতেছেন, ইহা কেমন কথা ? সুতরাং এই সময়ে ব্রাহ্মসমাজের অবলম্বিত কার্য্যপ্রণালী রক্ষা করিবার জন্য জোরে দাঁড়ান কর্ত্তব্য। কিন্তু তৎপূর্বে বন্ধু ভাবে এক বার কেশব বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সমুদয় কথা তাহার প্রমুখাৎ শুনিবার চেষ্টা করা উচিত। তদনুসারে ২রা ফেব্রুয়ারী আমরা তিন বন্ধু মিলিয়া কেশব বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলাম। যাইবার দিন শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাই। তিনি বিশেষ কোনও সংবাদ দিতে পারিলেন না ; বলিলেন, “আমি সবে বোম্বাই হইতে আসিয়াছি, আমি কোনও সংবাদ জানি না। তোমরা কেশব বাবুর কাছে যাও, আমিও পশ্চাতে আসিতেছি।” আমরা গিয়া কেশব বাবুর সহিত কথা কহিতেছি, তিনিও আসিয়া এক পার্শ্বে বসিলেন। কেশব বাবু কোনও মতেই বিশেষ সংবাদ দিতে চাহিলেন না ; বলিলেন, “এখন কোনও সংবাদ দিতে পারি না।” আমি বলিলাম, “এই সংবাদে ব্রাহ্মদের মন অতিশয় উত্তেজিত ; আপনার উচিত আমাদিগকে সকল সংবাদ দেওয়া । লোকে ত আপনার নিকট আসে না, আমাদিগকেই পথে ঘাটে ধরে, আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে। আমরা উত্তর দিতে পারি, লোককে শান্ত করিতে পারি, এমন সংবাদ আমাদের কাছে থাকা আবশ্যক।” তিনি কোন ক্রমেই