পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম্মত্যাগ · · · R8 R মফঃসল সমাজ সকলের মত গ্রহণ --অমরা কেশব বাবুর নিকট প্রতিবাদ পত্র প্রেরণ করিয়াই, তাহা মুদ্রিত করিয়া মফঃসলের সকল সমাজে প্রেরণ করিলাম, ও তঁহাদের পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিলাম। চারি দিক হইতে কেশব বাবুর হস্তে প্রতিবাদ পত্র আসিতে লাগিল। কর্ম্মত্যাগ ॥-এদিকে আমার জীবনের দ্বিতীয় সঙ্কট উপস্থিত। প্রথম সঙ্কট গিয়াছিল, উপবীত ত্যাগের সময় ; দ্বিতীয় সঙ্কট আসিল, কর্ম্ম ছাড়িবার সময়। আমি সেই বিশেষ প্রতিজ্ঞার দিন * হইতে গবর্ণমেণ্টের চাকুরী ছাড়িব বলিয়া কৃতসঙ্কল্প হইয়াছি। কলেজ হইতে উত্তীর্ণ হইয়াই ব্রাহ্মসমাজের সেবাতে আপনাকে দিব এই সঙ্কল্প ছিল ; সেজন্যই কেশব বাবুর ভারত আশ্রমে গিয়াছিলাম। তঁহাদের সঙ্গে মিশ খাইল না বলিয়া দুঃখিত অন্তরে কিছু দিন বিষয়কর্ম্ম করিতে গিয়াছিলাম, কিন্তু আত্মা শান্তিতে ছিল না । অন্তরাত্মা “কি করি কি করি’ ভাবিয়া সর্বদাই বিষগ্ন श्ऊ । অবশেষে ১৮৭৬৩ সালের শেষ হইতে কর্ম্ম ছাড়াই স্থির করিয়াছিলাম। কেবল সকল কাজের সঙ্গী ও সকল বিষয়ের পরামর্শদাতা আনন্দমোহন বসু মহাশয় “কিছু দিন বিলম্ব করুন, কিছু দিন বিলম্ব করুন” বলিয়া আমাকে টানিয়া রাখিয়াছিলেন। এখন সেই সঙ্কল্প আবার মনে জাগিয়া মনকে অস্থির করিয়া তুলিল। আবার আমি সন্দেহ দোলায় দোলায়মান হইতে লাগিলাম। এক দিকে কত চিন্তা, কত বিভীষিকা মনে আসে। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে ; যাহাঁদের মুখ চাহিব, এরূপ কেহ কোথাও নাই। বৃদ্ধ পিতা মাতার কথা মনে হইতে লাগিল। তঁহারা চির দারিদ্র্যে বাস করিয়াছেন, আমি তঁহাদের একমাত্র পুত্র। তঁহাদের দারিদ্র্য দুঃখ ঘুচিবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার দুই স্ত্রী ও শিশু পুত্র কন্যা, তাহাদিগকেই বা কে দেখিবে ? আমার সংসার ভার বহন করিব

  • as·鸣1°1