পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Y] স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন ; দলাদলির অন্ধতা se (to বসিয়াই সঙ্গীত আরম্ভ করিলেন। যেই তাঁহাদের সঙ্গীত আরম্ভ হওয়া, অমনি উমানাথ গুপ্ত প্রভৃতি কেশব বাবুর কয়েক জন অনুগত শিষ্য খোল করতালের ধ্বনি করিতে করিতে নীচে আসিলেন। তঁহাদের “দয়াল বল জুড়াক হিয়া রে” এই গান ও খোল করতালের ধ্বনি অপর পক্ষের সঙ্গীত চাপা দিয়া ফেলিল। পুলিস সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট কালীনাথ বসু সদলে আসিয়া প্রতিবাদকারী দলের মানুষদিগকে বাছিয়া বাছিয়া মন্দির হইতে বাহির করিয়া দিতে লাগিলেন। স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপন।-ইহার পরে পত্র চালাচালিতে কিছু দিন গেল। ওদিকে ব্রাহ্মসমাজ কমিটি সমুদয় বিবরণ দিয়া কলিকাতার ও মফঃসলের ব্রাহ্মগণের অভিপ্রায় জানিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। অধিকাংশই স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপনের পরামর্শ দিলেন। তদনুসারে পরবর্তী ২রা জ্যৈষ্ঠ ( ১৫ই মে) দিবসে টাউন হলে ব্রাহ্মদিগের সভা ডাকিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইল । দিলাদলির অন্ধত -এই বিবাদের বিষয় ভাবিতেও ক্লেশ, লিখিতেও ক্লেশ ; কিন্তু বিবাদটা যখন ব্রাহ্মসমাজের ইতিবৃত্তের অঙ্গ হইয়া গিয়াছে, তখন সে বিষয়ে যতটা স্মরণ হয় লিখিয়া রাখা ভাল বলিয়া লিখিলাম। দলাদলিতে মানুষকে কিরূপ অন্ধ করে, তাহা দেখাইবার জন্য একটি ঘটনার উল্লেখ করিয়া এই অংশের উপসংহার করিতেছি। এই গোলমালের মধ্যে আমাদের দলে যিনি যিনি লেখনী ধারণ করিতে জানিতেন, তাহারা সকলেই কেশব বাবুর বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করিতে লাগিলেন। আমি “এই কি ব্রাহ্মবিবাহ ?” নাম দিয়া এক পুস্তিক লিখিলাম। পূর্বোক্ত ঘননিবিষ্ট মণ্ডলীর সভ্য বিজযোগিনী নিবাসী আনন্দচন্দ্র মিত্র সুকবি বলিয়া সাহিত্য জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন; তিনি এই সময়ে কুচবিহার বিবাহের প্রতিবাদ করিয়া একখানি ক্ষুদ্র নাটক রচনা করিলেন। এ সংবাদ আমরা জানিতাম