5 ዓ 8 শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিঃ হইবে। প্রথম, অনেক উৎসাহী ও অনুরাগী ব্রাহ্ম যুবককে শিক্ষকতা “ কার্য্য দিয়া নিকটে রাখা যাইবে, তদ্দ্বারা সমাজের কার্য্যের অনেক সাহায্য হইবে ; দ্বিতীয়, বহুসংখ্যক বালকের মনে ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজের ভাব দেওয়া যাইবে। তখন আনন্দমোহন বাবু, সুরেন্দ্র বাবু ও আমি বঙ্গীয় যুবক দলের প্রধান নেতা। আমরা সুরেন বাবুকে অনুরোধ করাতে তিনিও আমাদের সঙ্গে নাম দিতে স্বীকৃত হইলেন। আমাদের তিন জনের নামে স্কুলের প্রস্তাবনা পত্র প্রকাশ হইল। স্কুলের নাম হইল, সিটি স্কুল। আনন্দমোহন বাবু স্কুলের সরঞ্জামের টাকা দিলেন ; সুরেন বাবু পড়াইতে লাগিলেন, এবং আমি সেক্রেটারির কাজ করিতে লাগিলাম। প্রথম দিনেই স্কুল বসিয়া গেল বলিলে অত্যুক্তি হয় না। প্রথম মাসেই ব্যয় বাদে টাকা উদ্ধৃত্তি হইল। কয়েক মাসের মধ্যে আনন্দমোহন বাবুর প্রদত্ত টাকা শোধ হইল । এই সিটি স্কুল স্থাপনের কথা ভুলিবার নহে। সে যেন রোম রাজ্যের পত্তন ! অপরাপর স্কুলের তাড়ান ছেলে, বাদ ছেলে দলে দলে আসিয়া উপস্থিত হইতে লাগিল। আবার স্থাপনকর্ত্তাদিগের প্রতি ভক্তি বিশ্বাস থাকাতে অনেক ভাল ছেলেও আসিয়া উপস্থিত হইতে লাগিল । ছেলে বাছাই করা এক মহা সঙ্কটের ব্যাপার হইয়া দাড়াইল। কি দুশ্চিন্তা, কি পরিশ্রম, কি সতর্কতার যে প্রয়োজন হইয়াছিল, তাহা এখন বর্ণনা করা দুঃসাধ্য। দুই একটি ঘটনা মাত্র উল্লেখ করিতে পারি। ছেলে বাছাই করিবার জন্য আমি এক নিয়ম প্রবর্ত্তিত করিয়াছিলাম। প্রত্যেক শিক্ষকের হাতে এক একখানি খাতা দিয়াছিলাম। তাহাতে তাহারা দিনের পর দিন ক্লাসের দুষ্ট ছেলেদের, অর্থাৎ যাহারা কামাই করে, বা পড়া না করে, বা দুষ্টামি করে, তাহদের নাম লিখিয়া রাখিতেন। সপ্তাহান্তে বাছাই হইয়া বড় দুষ্ট ছেলেদের নাম আর এক খাতায় উঠিত। ঐ খাতার নাম ছিল ‘ব্ল্যাক বুক’। ঐ খাতা ছেলেদের অগোচরে