পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎦᏄᎭ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৩শ পরিঃ আমরা গিয়া গাজার দোকানের সমক্ষে দাড়াইলাম। রাস্ত হইতে । আরও লোক জুটিয়া গেল। আমি ( দোকানদারের প্রতি)। এই ছোকরাকে গাজা বেচেছ কি না ? দোকানদার (থতমত খাইয়া ) । না মশাই, গাজা বেচি নাই। আমি তার মুখ দেখিয়াই বুঝিলাম যে সে মিথ্যা কথা বলিতেছে। একটু উগ্র ভাবে ঠিক বল। সঙ্গে পাহারাওয়ালা সাক্ষী আছে, স্কুলের ছেলেদের গাজী বেচা ; আমি পুলিস সাহেবকে লিখে তোমার লাইসেন্স কেড়ে নেব । তখন সে ভয়ে সত্য কথা বলিল, তাহাকে গাজা বেচিয়াছে। আমি সেই বালককে ধরিয়া সিটি স্কুলে ফিরিয়া আসিলাম। আমি তার নাম কাটিয়া দিয়া, কারণ প্রদর্শন পূর্ব্বক তাহার পিতাকে এক পত্র লিখিলাম। তৎপর দিন তার পিতা আসিয়া উপস্থিত। আমার হাতে পায়ে ধরাধরি,-“যদি ছেলে ভাল হয়, আপনাদের কাছেই হবে। আমার প্রতি দয়া ক'রে একে রাখতেই হবে।” মীমাংসাটা কি হইয়াছিল, তাহা এখন স্মরণ নাই। তবে সে সময়ে আমি দুষ্ট ছেলে তাড়ান বিষয়ে ক্ষিপ্রহস্ত ছিলাম । যদি কোনও শিক্ষকের চক্ষে পূর্ব্বোক্ত বিবরণগুলি পড়ে। তবে তঁহাকে বলি যে, এক সহরের বিভিন্ন বিদ্যালয় সকলের শিক্ষকদের মধ্যে আত্মীয়তা ও যোগ না থাকিলে, এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রের অভিভাবক এই উভয়ের মধ্যে সাহচর্য্য না থাকিলে, বিদ্যালয়ে সুশাসন রক্ষিত হইতে পারে না। বর্ধমান সময়ের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এই দুইটিরই অভাব । த সিটি স্কুলটি সমাজের সর্ববিধ কার্য্যের কেন্দ্র।—সিটি স্কুল স্থাপিত হইলে ইহার বাড়ীটি আমাদিগের সর্ববিধ কার্য্যের কেন্দ্রস্বরূপ হইয়া দাড়াইল। ইহার একটি ঘরে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের আপীস