>ኴ”ፃሕs ] বঁকিপুর ; “মেজ বউ” রচনা কিছু ভিক্ষা করিয়া লইব । এই ভাবিয়া বাঁকিপুরের টিকিট লইয়া যাত্রা করিলাম । বঁকিপুর। “মেজ বউ” রচনা।—পর দিন প্রাতে বাকিপুর ষ্টেশনে অবতরণ করিয়া দেখি যে, প্রকাশচন্দ্র রাজকার্য্যে স্থানান্তরে যাইবার জন্য ষ্টেশনেই দণ্ডায়মান। তাড়াতাড়ি বেশী কথা হইল না। প্রকাশ। সে কি ? তুমি যে আসবে, সে সংবাদ ত দেও নাই ! আমি । ভাই, প্রথম আমার এখানে নামবার কথা ছিল না। কাল আসবার সময় স্থির হ’ল, তাই খবর দিতে পারি নি। প্রকাশ। যাও, আমার বাড়ীতে যাও ; সেখানে অঘোরকামিনী আছেন, আতিথ্যের ভাবনা নাই। চার দিন অপেক্ষা ক’রো, আমি কাজ সেরে আসছি। এই বলিয়া অপর দিকের ট্রেণে উঠিয়া যাত্রা করিলেন। আমি গিয়া অঘোরকামিনীর গৃহে অবতীর্ণ হইলাম। অঘোরকামিনীর ভালবাসা ও আতিথ্যের গুণে র্তার বাড়ী যেন আমার তীর্থ স্থানের মত বোধ হইত। আমি পরম সুখে তীর গৃহে বাস করিতে লাগিলাম। সেখানকার ভদ্রলোকদের সহিত আলাপ করিয়া, তাহদের সাহায্যে একটা বক্তৃতা দেওয়া গেল, এবং অপরাপর কাজও কিছু করা গেল। কিন্তু প্রকাশচন্দ্রের আর দেখা নাই ! আমি এখানে মে মাসের শেষ ভাগ পর্য্যন্ত সপ্তাহের অধিক কাল যাপন করিলাম। এই কালের মধ্যে একটা কাজ। সারা গেল । ন্যাশনাল ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশনের সভ্যগণের নিকট একখানি পারিবারিক উপন্যাস লিখিয়া দিব বলিয়া প্রতিশ্রুত ছিলাম। সেই প্রতিজ্ঞাটা এখানে পূরণ করিলাম। এই ৮১০ দিনের মধ্যে “মেজ বউ” নামক একখানি উপন্যাস লিখিয়া কলিকাতাতে প্রেরণ করিলাম । প্রকাশচন্দ্র আর আসিলেন না ; আবার বিভ্রাট উপস্থিত,