পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ১৫শ পরিঃ গিয়েছি, অমুক ফিরিঙ্গীর বাড়ীতে আমার নিমন্ত্রণ আছে, আমার ਲਲ ক’রো না । যে ব্যক্তি ব্রাহ্মণ হ’য়ে পৈতা ত্যাগ করে এবং যার তার বাড়ী খায়, তার কি জাত থাকে ? তবে আমাকে তোমার নিজের ঘরের ভিতর খেতে দাও কেন ? বন্ধুপত্নী ( হাসিয়া ) । আপনার কথা স্বতন্ত্র। আপনি যা করেন তাই শোভা পায়। আপনি ব্রাহ্মণই আছেন। আমি । ওটা তোমার ভালবাসার কথা । আমার বন্ধুপত্নীর আমার প্রতি এই অতিরিক্ত শ্রদ্ধা ও ভালবাসার পরিচয় অল্প দিনের মধ্যেই পাইলাম। কয়েক দিন পরে তিনি। তঁহার জ্যেষ্ঠা কন্যাকে আমার নিকট আনিয়া বলিলেন, তাহার গর্ভে সন্তান রক্ষা হয় না ; দুই বার নষ্ট হইয়াছে; তাহাকে এমন কিছু ঔষধ দিতে হইবে, যাহাতে সন্তান রক্ষা পায় । আমি হাসিয়া বলিলাম, “আমি ত চিকিৎসক নই ৷ ঔষধ আবার কি দিব ?” তিনি বলিলেন, “আপনি ওর মাথায় হাত দিয়া আশীর্ব্বাদ করুন, এবং পদধূলি দিন, তাহ’লেই ওর সন্তান রক্ষা হবে।” যিনি জাতিভ্রষ্ট ছেলেকে রাস্তায় “কুকুরের মত? ভাত দিতেছিলেন, অপর দিকে তঁাহার এই নিষ্ঠা দেখিয়া আমি আশ্চর্য্যান্বিত হইলাম। : এই স্থানে ইহা বক্তব্য যে, সেই ছেলেটা আমাদের এত যত্ন সত্ত্বেও এক সামাজিক উৎসব দিনে আমাদের বাড়ী হইতে পলাইয়া গেল । অনেক খুঁজিয়াও আর পাওয়া গেল না। পরে শুনিলাম, আবার রাস্তায় ঘুরিতেছে। শুনিয়া ভাবিলাম, এই শ্রেণীর বালকবালিকাদের সর্বপ্রধান বিপদ এই যে, নিরাপদে বাস করা ও নিয়মাধীন থাকা তাদের পক্ষে অসাধ্য হইয়া যায়। যাহা হউক, এই অনাথ বালকবালিকাদের জন্য উৎকণ্ঠ বৃথা গেল না। মান্দ্রাজের 'ব্রাহ্ম বন্ধুগণ। ইহার কিছুদিন পরেই তঁহাদেৱ, মন্দিরসংলগ্ন jСk Sree Raja