পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [২য়ু, পরিঃ DS BBB BB DLu S S D sBK SsTD BDB BDDD SDDLD SiLD লইয়া একটা মহাবিভ্রাট উপস্থিত হইত। আমাদের বাড়ীতে শালগ্রাম শিব পঞ্চানন প্রভৃতি অনেক পৈতৃক ঠাকুৰ, ছিলেন। প্রপিতামহ মহাশয়ের কথা বলিবার সময় তঁহাদের বিশেষ বিবরণ দেওয়া যাইবে। প্রতি দিন অন্ন ব্যঞ্জন তঁহাদের অগ্রে নিবেদন না করিয়া কাহারও আহার করিবার অধিকার ছিল না। আমারও ধনুর্ভঙ্গ পণ ছিল, ঠাকুরদের নিবেদিত অন্ন আহার করিব না। এজন্য বাবার ও মার হাতে গুরুতর প্রহরী সহ করিতাম, তবুও নিজের জেদ ছাড়িতাম না। অবশেষে নিরুপায় দেখিয়া এই নিয়ম করা হইয়াছিল যে, আমার অন্নগুলি স্বতন্ত্র রাখিয়া, অপর অন্ন ঠাকুরদের নিবেদন করা হইত। কিন্তু আমার পিতামাতার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও নির্ভর থাকিত না। অধিকাংশ সময় ঠাকুরদের নিবেদনের পূর্বে আসিয়া আমি বাহিরের দাবাতে আহার করিতে বসিতাম। কোনও কোনও দিন বাবা কৌতুক দেখিবার জন্য রান্নাঘরের ভিতর হইতে অন্ন নিবেদন করিয়া ঠাকুর লইয়া যাইবার সময় দাবার এক প্রান্তে যে আমি আহারে বসিয়াছি, আমার পাতে ঠাকুরদের কুশীর জল ছড়াইয়া দিতেন। অমনি, ‘ভাত আমি খাব না, বলিয়া আমি হাত তুলিয়া পা ছড়াইয়া কঁাদিতে বসিতাম ; মা আসিয়া অনেক বুঝাইতেন, কিছুতেই খাওয়াইতে পারিতেন না। শেষে বড় পিসীদের বাড়ী হইতে আমাকে খাওয়াইয়া আনিতে হইত, কারণ তঁহাদের বাড়ীতে ঠাকুর-টাকুর ছিল না। “জাতহরণী? --এই ব্যাপার লইয়া আমার মাকে পাড়ার মেয়েদের নিকট বড় লজ্জা পাইতে হইত। তঁহারা বলিতেন, “তোমার পেটে এ কি কালাপাহাড় এসেছে ?” তখন মা তঁহাদিগকে নিজের একটি স্বপ্নের কথা বলিয়া বলিতেন, “আমি জানি, ও ছেলে জাতহরণীতে হ’রে নিয়েছে।” সে স্বপ্নটি এই। আমাদের এতৎ প্রদেশের স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে সংস্কার আছে যে, সূতিকাগৃহে ছয় দিনের রাত্রে