পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e R শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত . . . . [। ১৯শ পরি; পরিত্যাগ করিয়া গেল। মেয়েটি চলিয়া গেলে ভাবিতে লাগিলাম, যে, মেয়ে একশ’টা শব্দ লিখিয়া এক পেনি করিয়া পায়, সে মেয়ে আমা অপেক্ষা জ্ঞানে এত অগ্রসর যে, তাহার সহিত কথা কহিয়া আমি আপনাকে উপকৃত বোধ করিতেছি ; এ দেশে জ্ঞান চৰ্চা কি প্রবল । ইহাও মনে হইল, প্রজা সাধারণের মধ্যে জ্ঞানালোচনা ও জ্ঞানস্পৃহা প্রবল থাকা নির নারীর সম্মিলনের মধ্যে পবিত্রত রক্ষা হওয়ার একটি প্রধান উপায় । এই যে দুই ঘণ্টা কাল দুই জনে ? কথাবার্ত্তাতে মগ্ন ছিলাম,-আমি যে পুরুষ এবং ও যে মেয়ে, তাহা মনেই ছিল না। কোথা দিয়া সময় গেল তাহা জানিতেই পারিলাম না । মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের উন্নত চরিত্র।—ইংরাজ সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারীগণের স্বভাব চরিত্র সম্বন্ধে অধিক কথা বলিবার প্রয়োজন নাই ; একটি বিষয়ের উল্লেখ করিলেই তাহার কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে । আমার সেখানে অবস্থান কালে একটি বাঙ্গালী যুবকের মুখে যে ঘটনার কথা শুনিয়াছিলাম, তাহার উল্লেখ করিতেছি। ঐ যুবকটি মফঃসলে কোনও স্থানে বাস করিতেন। সেখানে নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর এক যুবকদম্পতীর গৃহে বাসা লইয়াছিলেন। তাহাঁদের বাড়ীর বাহির দিকে একটি দোকান ছিল, তাহাতে কিছু আয় হইত ; এবং তদ্ভিন্ন তাহারা বাড়ীর মধ্যে একটি ঘরে একটি ভাড়াটিয়া লইত, তাহার ঘরভাড়া ও খাই-খরচ হিসাবে কিছু পাইত। বাড়ীতে চাকর-বাকর ছিল না, মেয়েটিই সব কাজ করিত। মেয়েটির বয়স তখন ২২৷২৩এর অধিক হইবে না। আমাদের বাঙ্গালী যুবকটির বয়স বোধ হয় ২৬/২৭ হইবে । মেয়েটির পতিরও ঐ বয়সী। আমাদের বাঙ্গালী যুবক বড় সৎ লোক ; তঁহাকে পাইয়া যুবকদম্পতী। আনন্দিত ছিল। কিন্তু এদিকে এক বিপদ উপস্থিত। মেয়েটি সরল ভাবে যখন , যুবকটির কাছে আসে, চা অনিয়া দেয়, ছেড়া কাপড়