পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিষ্ট ] * পিতার তেজস্বিতা সেইগুলি মনোযোগ পূর্বক, বিন সাহায্যে যত দূর হয়, পাঠ করিতেন ; কখনও কখনও পাড়ার ছেলেদিগকে ডাকিয়া সন্দেহ ভঞ্জন করিয়া লাইতেন। মারি পাঠ্য গ্রন্থের মধ্যে কৃত্তিবাসের রামায়ণ এক প্রধান গ্রন্থ ছিল । আমার জ্ঞানে, আমি তঁহাকে প্রায় প্রতি দিন রামায়ণ পড়িতে দেখিতাম। নিজে পড়িতেন, এবং ছুটির দিনে আমাকে দিয়া পড়াইয়া শুনিতেন। কিন্তু যে জন্য মার লেখাপড়া শিক্ষার কথা বলিতেছি, তাহা এই যে, এ জন্য বাবাকে নির্য্যাতন সহা করিতে হইত। বড় পিসী গালাগালি দিতেন, পাড়ার মেয়েরা মাকে উঠিতে বসিতে ঠাট্টা করিত। জ্ঞাতিগণ বাবার সাহেব' নাম তুলিয়া দিলেন। ইহার আর একটা কারণও আছে। তিনি এক বার কাল জুতা পায় দিয়া এবং একটা চানে ছাতা মাথায় দিয়া গ্রামে গিয়াছিলেন । ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ছেলে চটি পায়ে না দিয়া কাল জুতা পায়ে দিয়াছে, এবং গোলপাতার ছাতা মাথায় না দিয়া চীনে ছাতা মাথায় দিয়াছে, ইহা গ্রামের লোকের, বিশেষতঃ জ্ঞাতিবর্গের, চক্ষে অসহনীয় বোধ হইয়াছিল। সে যাহা হউক, বাবা মাকে শিক্ষা দিবার বিষয়ে আত্মীয় স্বজনের এবং জ্ঞাতিবর্গের আপত্তি শুনিলেন না। স্বাধীন ভাবে ও দৃঢ়চিত্তে আপনার কাজ করিয়া লাইতে লাগিলেন। স্ত্রীশিক্ষা বিষয়ে তঁহার এই দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা ও এই তেজস্বিতা কিরূপে গ্রামের বলিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সংশ্রবে। প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহ পূর্বেই বলিয়াছি।* এক্ষণে র্তাহার উগ্র উৎকট আত্মমর্য্যাদা জ্ঞানের বিষয়ে কিছু বলি। আমি তঁাহার বিরাগ সত্ত্বেও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করিলে, তিনি কিরূপে

  • as 1 CF 1