পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

satr i .. ' ' : শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত' ' . . . [ পরিা (ή বন্ধুগণ সর্ব্বদা বলিতেন, এই আমুদে পরিবারের লোকে দুঃখ ফাঁহাকে বলে জানে না । তাহার স্বাভাবিক হৃষ্টচিত্ততার দুইটি দৃষ্টান্ত দিতেছি। এক বার আমাদের বড় দারিদ্র্যের অবস্থা উপস্থিত হয়। সেই সময়ে প্রসন্নময়ীর আরলীখানি ভাঙ্গিয়া যায়। তখন তাহার একখানি নূতন আরাসী কিনিবার পয়সা ছিল না। তিনি জলের জালাতে মুখ দেখিয়া চুল বঁাধিতে আরম্ভ করেন। এ সকল কথা আমি জানিতাম না। এক দিন আমার বন্ধু দুৰ্গামোহন দাস মহাশয়ের পত্নী ব্রহ্মময়ী অপরাহে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসেন। তিনি আসিয়া দেখিলেন যে প্রসন্নময়ী জলের জালার নিকটে দাড়াইয়া আছেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও কি হেমের মা, জলের জালার কাছে দাঁড়িয়ে কেন ?” প্রসন্নময়ী হাসিয়া উত্তর করিলেন, “আরসীখানা ভেঙ্গে গেছে, তাই জলের জালাতে মুখ দেখে চুল বাধূছি।” ব্রহ্মময়ী । ও মা, এমন ত, কখনও শুনি নি । প্রসন্নময়ী অট্টহাস্য করিয়া বলিলেন, “দেখলেন, আমি কেমন একটা নূতন বিষয় দেখলাম।” দুই জনেই হাসিতেছেন, এমন সময় আমি উপস্থিত ; তখন আমি সমুদয় কথা জানিতে পারিলাম। এ কথাটাও আমার এই সঙ্গে বলা আবশ্যক যে, আমার বন্ধু পত্নী হাসিলেন বটে, কিন্তু ব্যাপারটায় তঁরা প্রাণে একটা আঘাত লাগিল । তিনি তৎক্ষণাৎ প্রকাণ্ড একখানি সুন্দর আরাসী কিনিয়া আনিয়া উপহার দিলেন। আর একটি ঘটনা এই । এইরূপ দারিদ্র্যের অবস্থাতে এক বার আমাদের বি ছিল না । এক দিন প্রসন্নময়ী একখানি মলিন বসন পরিয়া প্রাঙ্গণে ঝাড় দিতেছেন, এমন সময়ে কাহাদের বাড়ীর এক জন স্ত্রীলোক পাড়াতে বেড়াইতে আসিল । সে প্রসন্নময়ীকে জিজ্ঞাসা করিল, “হঁ, গা, তুমি এদের বাড়ী মাসে কত মাইনে পাও ?” * প্রসন্নময়ী বলিলেন, “ও গো,