পাতা:আত্মচরিত (৩য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৪ শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচরিত [ ৩য় পঢ়ি BD S DDBDD DDDSSS SBB DD DBDD BDDDB DBBB BBB S DB DBBB উপস্থিত। একটার ছুটির সময় সমস্ত ক্লাসের ছেলেদিগকে ও তন্মধ্যে গঙ্গাধরকে দণ্ডায়মান করিয়া, সেই’ কবিতা পাঠ করা হইল। সমুদয় কবিতাটি আমার মনে নাই। চারি পংক্তি মাত্র স্মরণ আছে। তাহা নিয়ে কবিতা যখন পড়া হইল, তখন ছেলেদের করতালিতে - ও অট্টহাস্তে সমুদয় স্কুলের ছেলে জড় হইল। গঙ্গাধর অপমানে কাদিয়া ফেলিল ; এবং মাষ্টার মহাশয়ের নিকট নালিশ করিল। কুমারখালির চাদমোহন মৈত্র মহাশয়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধাগোবিন্দ মৈত্র তখন আমাদের ইংরাজীর মাষ্টার ছিলেন। তিনি কবিতাটি আমার হাত হইতে লইয়া মনোযোগ পূর্বক পাঠ করিলেন ; এবং আমার মস্তকে হাত দিয়া বলিলেন, “তোমার কবিতা বেশ হয়েছে, কিন্তু মানুষকে গালাগালি দিয়ে কবিতা লেখা ভাল নয়।” ইহার পর আমার কবিতা লিখিবার উৎসাহ বাড়িয়া গেল । বাল্য কালের কবিতার খাতা।--ফলতঃ, আমি যে কত ছোট বয়সে কবিতা লিখিতে আরম্ভ করিয়াছি, তাহা মনে নাই। বর্ণপরিচয় হইলেই মা আমাকে কৃত্তিবাসের রামায়ণ পড়িয়া শুনাইতে বলিতেন, অথবা নিজে মুখে মুখে আবৃত্তি করিয়া শুনাইতেন। সেই সকল কবিতা । আমার কানে লাগিয়া ছিল। তৎপরে কলিকাতাতে আসিয়া ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতা কোনও প্রকারে হাতে পাইলেই গিলিয়া খাইতাম । তৎপরে আমার বাবা কবিতার রসগ্রাহী মানুষ, তিনি বন্ধুদের সহিত ভারত