পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Søby- শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ ৪র্থ পরিঃ প্রার্থনা কবিতাম। দুঃখেব বিষয় আমাব সে প্রার্থনাব খাতাখানি হাবাইয়া গিয়াছে। নতুবা ধর্ম্মজীবনেব শৈশবেব সেই আধ্য আধা ভাষা আজ দেখিতাম । ধর্ম্মের আদেশে চলিবার সঙ্কল্প ; ব্রাহ্মসমাজের সহিত যোগ আরম্ভ -প্রার্থনা কবিতে কবিতে হৃদয়ে দুইটী পবিবর্ত্তন দেখিতে পাইলাম। প্রথম, দুর্বল ৩াব মধ্যে বল আসিল ; আমি মনে ংকল্প কবিলাম, “কর্ত্তব্য বুঝিব যাহা, নির্ভয়ে কবিব তাহা, যায় যাক থাকে থাক ধন প্রাণ মান বে।” আমি ধর্ম্মেব আদেশ ও হৃদয়বাসা ঈশ্ববেব আদেশ অনুসাবে চলিবাব জন্য প্রস্তুত হইলাম । দ্বিতীয়, ভবানীপুধ ব্রাহ্মসমাজে ঈশ্ববেব উপাসনাতে যাইব স্থিব কাবলাম, ও যাইতে আৰম্ভ কবিলাম। কিন্তু পাছে আমাকে কেহ কিছু জিজ্ঞাসা কবেন, পাছে লোকোব সঙ্গে আলাপ হয়, এই ভয়ে উপাসনা আবম্ভ হইলে যাইতাম, ও উপাসনা ভাঙ্গিধাৰ অগ্রেই চলিয়া আসিতাম। এই সমষ চাইতে ব্রাহ্মসমাজেব সঙ্গে আমাব একটু একটু কবিয়া যোগ হইতে লাগিল। আমাব সমাধ্যাযী বন্ধু উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ( যিান পাবে বলতে গিয়া ডাক্তাব হইয়া আসিয়াছিলেন।) তখন ব্রাহ্মদেব নিকট সর্বদা যাহতেন, কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়েব কথা আমাকে আসিয়া বলিতেন, এবং ব্রাহ্মদেব প্রকাশিত পত্রিকাদি আনিয়া আমাকে পড়িতে দিতেন , কিন্তু আমাকে ব্রাহ্মদেব কাছে লাইতে চাহিলে লজাতে যাইতে চাহিতাম না । একদিনেব কথা স্মবাণ হয়। উমেশ আমাকে ও যোগেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (যিনি পবে যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ নামে বিখ্যাত হইয়াছেন)। ভজাইয়া কেশববাবুৰ কলুটোলাব বাড়ীতে লইয়া গিয়া দেখা কাবাইয়া দিতে চাহিলেন । আমি কেশব বাবুব বাড়াব ঘাব পর্য্যন্ত গেলাম, কিন্তু বাড়ীয় মধ্যে পা বাড়াইতে পাবিলাম না ; উমেশে।ব হাত ছাড়াইয়া পলাইয়া গেলাম। আর-একবাৰ