পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮৬৮-৬৯ ] বিরাজমোহিনীকে পুনর্বিবাহ দিবার প্রস্তাব y& দাম্পত্য বিবাদ বিষয়ে কথাবার্তা কহিলাম। তৎপরে তিনি অন্ত ঘরে ছেলেদের নিকট শয়ন করিতে গেলেন। আমিও নিদ্রা গেলাম। বন্ধুদের এই আকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও শ্রীতির বিষয় যখন স্মরণ করি, তখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ করি। কারণ ইহাদের সদ্ভাব শ্রীতির দ্বারা আমার হৃদয় মনের অনেক উপকার হইয়াছিল। দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে পুনরায় বিবাহ দিবার প্রস্তার -এই সময় আমার মাথায় যত রকম আজগুবি মৎলব আসিত, ভারত-উদ্ধারের যত রকম খেয়াল ঘুরিত, সকলের উৎসাহদায়িনী ছিলেন । মহালক্ষ্মী। এ জীবনে আমার অনেক চেলা জুটিয়াছে; কিন্তু মহালক্ষ্মীর মত চেলা অল্পই জুটিয়াছে । এই সময়ে জন ষ্টুয়ার্ট মিলের গ্রন্থ পড়িয়া যোগেন কিছুদিনের জন্য নাস্তিক হইয়া উঠিয়ছিলেন। তাহা লইয়া আমার সঙ্গে রোজ তর্ক ও ঝগড়া চলিত। আমি তাহাকে আন্তিক করিবার চেষ্টা করিতাম, কিন্তু ঝগড়ার ফল। এই হইত। যে তিনি আরও नृछुडाब जश्डि नांखिकडा (थ5ांद्र कब्रिटडन। डिनि शनिद्रा अभिाटक বলিতেন, “স্ত্রীটীকে তো চেলা করিয়া লইয়াছ, যত পায় ধর্ম্ম তাহাকে ভজাও ; আমাকে ছাড়া না !” আমি যোগেনকে না পারিয়া মহালক্ষ্মীকেই ভজাইতাম । দুজনে প্রতিদিন ব্রহ্মোপাসনা করিতাম। আমরা তিনটী প্রাণী এমনি “রিফর্ম্মার” হইয়া উঠিয়াছিলাম যে, আমরা তিনজনে পরামর্শ করিয়াছিলাম যে আমার দ্বিতীয়া পত্নী বিরাজমোহিনীকে আনিয়া পুনরায় তঁহার বিবাহ দিল। তখনও আমি বিয়াজমোহিনীকে পত্নীভাবে গ্রহণ করি নাই। এই ১৮৬৮ সালে আমি একবার, র্তাহাকে আনিতে যাই। তখন তিনি ১১১২ বৎসরের বালিকা। বোধ । হয় আমার পিতা-মাতার পরামর্শ ভিন্ন আনিতে গিয়াছিলাম ফলিয়া তাহান্না। পাঠাইলেন না। যাহাকে বিবাহ দিব ভাবিতেছি, তাহাকে পীঙ্গৰে, গ্রহণ করা” কর্তব্য নয় বলিয়া উহাকে পীতাৰে গ্রহণ করিতাম না।