পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YstyrKR শিবনাথ শাস্ত্রীর আত্মচারিত [ ৭ম-পরিঃ কাজ করিতে আরম্ভ করিলে তাহারা সেই ভাব লইয়া গিয়া চারিদিকের ব্রাহ্মপরিবারে ব্যাপ্ত করিতে পারে। এই ভাব লইয়া তিনি ভারতাশ্রম স্থাপন করিলেন। তাহার অনুগত প্রচারকগণ সর্বাগ্রে গেলেন। তৎপরে আমরাও অনেকগুলি পরিবার বাহির হইতে গেলাম। আমরা কেশব বাবুর মনের ভাবটা কাজে করিয়া দেখিবার জন্য কৃতসংকল্প হইলাম। ভারত-আশ্রমে কেশবচন্দ্রের বিমল সহবাস ।--ভারতাশ্রশ1 স্থাপিত হইলে কেশব বাবু কলুটোলার বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া আমাদেব সঙ্গে আসিয়া থাকিতে লাগিলেন। কলিকাতা ১৩ নং মির্জাপুব ধীট ভবনে (বর্তমান সিটী স্কুলের ভূমিস্থিত ভবনে) প্রথমে কিছুদিন থাকিয়া পাবে সহরের বাহিরে কোন কোনও বাগানে গিয়া থাকা হয়। প্রথম বেলঘরিয়ায় এক বাগানে, তৎপরে কঁকুড়গাছির এক বাগানে কিছুদিন যাওয়া হয়। এই-সকল স্থানে গিয়া আমরা কেশব বাবুর বিমল সঙ্গতবাসে থাকিবার অবসর পাইলাম। স্বীয় স্বীয় ব্যয়ের অংশ দিয়া সকলে একান্নভুক্ত পূরিবারের ন্যায় থাকিতাম। একসঙ্গে খাওয়া, একসঙ্গে কলা, একসঙ্গে বেড়ান-সুখেই কাল কাটিত । সহরে র্যাহাদের কাজ থাকিত, তেঁাচার দিনের বেলায় সহরে গিয়া কাজ করিয়া আসিতেন। প্রতে ও সন্ধ্যাতে একসঙ্গে উপাসনা ও একসঙ্গে ধর্ম্মালাপ চলিত। আমরা সকল বিষয়েই কেশব বাবুর পরামর্শ ও সদুপদেশ পাইতাম । আমি ব্রাহ্মধর্ম্ম-প্রচার-কার্য্যে আপনাকে অৰ্পণ করিব বলিয়াই ভারতাশ্রমে বাস করিতে গিয়াছিলাম। আমার অগ্রে অভিপ্রায় ছিল যে, আমি কলেজ হইতে উত্তীর্ণ হইয়া ওকালতী করিব, সেইজন্য উকীল বন্ধুদের পরামর্শে তিন বৎসর ‘’ল লোকুচার” শুনিয়া শেষ করিয়া রাখিয়াছিলাম। কতদূর স্মরণ হয়, আমার বি-এল দিবার ইচ্ছা হইবার আয়-একটী কারণ ছিল। তদানীন্তন লেফটেনাণ্ট গভর্ণর সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপাল প্রলয়কুমায় সর্বাধিকারী - মহাশয়কে বলিয়াছিলেন, “আমি Judicial