পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R r विश्वनाथ शांौद चांपात्रांसड [ » Pfi: অধিকাংশই স্বতন্ত্র সমাজ স্থাপনেব পরামর্শ দিলেন। তদনুসারে পরবর্তী ২রা জ্যৈষ্ঠ ( ১৫ই মে) দিবসে টাউন হলে ব্রাহ্মদিগের সভা ডাকিয়া সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইল । দলাদলির অন্ধত - এই বিবাদের বিষয় ভাবিতেও ক্লেশ, লিখিতেও ক্লেশ , কিন্তু বিবাদটা যখন ব্রাহ্মসমাজেব। ইতিবৃত্তেব অঙ্গ হইয়া গিয়াছে, তখন সে বিষয়ে য৩টা স্মরণ হয়, লিখিয়া রাখা ভাল বলিয়া লিখিলাম। দলাদলিতে মানুষকে কিৰূপ অন্ধ কবে ৩াহা দেখাইবাব জন্য একটা ঘটনার উল্লেখ করিয়া এই অংশের উপসংহার করিতেছি। এই গোলমালের মধ্যে আমাদেব দলে যিনি যিনি লেখনী ধারণ করিতে জানিতেন, তাহাবা সকলে হ কেশব বাবুব বিৰুদ্ধে লেখনী ধারণ করিতে লাগিলেন । আমি “এই কি ব্রাহ্মবিবাহ ?” নাম দিয়া এক পুস্তিকা লিখিলান । পুর্ব্বোক্ত ঘননিবিষ্ট মণ্ডলীর সভ্য বিজযোগিনী নিবাসী আনন্দচন্দ্র মিত্র সুকবি বলিয়া সাহিত্য জগতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন , তিনি এই সময়ে কুচবিহার বিস্তাব বিবাহেব প্রতিবাদ করিয়া একখানি ক্ষুদ্র নাটক রচনা কবিলেন । এ সংবাদ আমরা জানিতাম না , তাহা যে আমাব বন্ধু কেন্দাবনাথ বায়েব প্রেসে ছাপা হইতেছে তাহাও জানিতাম না । যখন বাহির হইল, তখন একখানা আমার হাতে পডিল। আমি দেখিলাম, তাহাতে অতি লঘুভাবে কেশব বাবুকে ও তাহাব দলকে আক্রমণ কবি ; হইয়াছে। বিশেষ অপরাধের কথা এই, আচার্য্যপত্নীকে তাহার মধ্যে আনিয়া তাহার প্রতিও লঘুভাবে শ্লেষবাক্য প্রয়োগ করা হইয়াছে। আমি আচার্য্যপত্নীকে মনে মনে অতিশয় শ্রদ্ধা করিতাম। আমি দেখিয়া জলিয়া গেলাম। তৎক্ষণাৎ আনন্দ মিত্রকে ডাকাইয়া, কেদারকে অনুরোধ করিয়া, ঐ পুস্তিকা প্রচার বন্ধ করিয়া দিলাম। দিয়া মিরার আফিসে গিয়া কেশব বাবুর দলস্থ প্রচারক বন্ধু দিগকে বলিয়া আসিলাম, “যদি ঐ পুস্তিক তাহদের হাতে