পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JS শিবনাথ শান্ত্রিীব আত্মচবিত [ ১২শ পবিঃ পাশ্বের এক চেয়ারে নিজে বসিলেন, এবং নিজের হাতে তুলিয়া এক একটি খাদ্যদ্রব্য আমাকে দিতে লাগিলেন। মহৰ্ষির এই নিয়ম ছিল, বাহাদিগকে বড় ভাল বাসিতেন, তাহাদিগকে নিজের হাতে তুলিয়া দিয়া, খাওয়াইয়া সুখী হই৩েন ; সেইরূপ আমাকে খাওয়াইতে লাগিলেন । খাইতে খাইতে আমি বলিলাম, “ঢ়েব হয়েছে, পেট ভরেছে।” তিনি আর একটা সুখাদ্য লইয়া হাসিয়া বলিলেন, “তা বললে চলবে না, বাপু ! এ সব জিনিস বাড়ীর মেয়েরা নিজের হাতে করেছেন, না খেলে নারীর সম্মান করা হবে না , তোমরা ত স্ত্রী স্বাধীনতার দল!” এই বলিয়া অট্টহাস্য করিয়া উঠিলেন । এমন সুন্দর, এমন পবিত্র, এমন অকপট হাস্য মানুষে কম দেখিয়াছ । বাজনাত্মায়ণ বসু মহাশয় ও মহাধিব জ্যেষ্ঠপুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় আমাদেব মধ্যে অকপট অট্টহাপ্তেব জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন ; কিন্তু মহৰিব। হাস্থ্য বড় কম চিাওকষক ছিল না। তবে ॥ ৩নি সকলের কাছে হাসিতেন না , নিতান্ত অনুরক্ত লোকোব ভাগেই তাহা ঘটিত । আহারান্তে আমরা আবার মহর্ষিার বৈঠক গৃহে ফিরিয়া আসিলাম । আসিয়া দেখি, রাজনারায়ণ বাবু তখনও বসিয়া আছেন। চুপে চুপে তঁাহাব কানে আহারের ব্যাপারটা বর্ণনা করিলাম, তিনি হাসি৩ে লাগিলেন। ইতিমধ্যে দেখি, মহাষি তঁহার ক্যাশ-বাকসি তলব করিয়াছেন, ও চেকবুক বাহির করিয়া লিখিতে আবম্ভ করিয়াছেন। আমি সেদিকে মনোযোগ দিবামাত্র, হাসিয়া আমাকে বললেন, “তোমাদের দাবখস্তের রায় লিখুচি । আমি ( রাজনারায়ণ বাবুর প্রতি )-কেবল ব্রাহ্মণ-ভোজন নয়, হাতে হাতে বিদায়টা হয়ে যায় দেখুচি। রাজনারায়ণ বাবুল-তাইত, সেইরূপ গতিক দেখাচি । মহর্ষি চেক স্বাক্ষর করিয়া আমার হাতে দিয়া, ইংরাজীতে বলিলেন,