পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q শিবনাথ শাস্ত্রীৰ আত্মচৰিত [ ২য় পরিঃ সহিত সংযুক্ত ছিলেন এবং গ্রামের উন্নতি-বিষয়ে বড়ই উৎসাহী ছিলেন। শুনিয়াছি, তিনিই গ্রামে ব্রাহ্মধর্ম্মকে প্রবিষ্ট কবেন এবং আমাব ভক্তিভাজন স্বগ্রামবাসী গুৰুস্থানীয় উমেশচন্দ্র দত্ত প্রভৃতিকে ব্রাহ্মধর্ম্মে অনুবাগী কবেন। এই শিবকৃষ্ণ দত্ত ইহাব কিছুদিন পবে লুক্রিসিয়াব উপাখ্যান বাঙ্গলা পদ্যে অনুবাদ কবেন এবং বাঙ্গল কাব্য বিষয়ে আমাদেব পথপ্রদৰ্শক হন। পবে ইনি উন্মাদ-বোগগ্রস্ত হইযাছিলেন । সেই অবস্থাতেই বহুদিন পবে গীতাসু হন। তঁতাব উন্মাদ বোগ সম্বন্ধে একটি স্মবাণীয় কথা আছে। ইহঁাব পিতা ব্রজনাথ দত্ত জ্ঞানানুবাগী ও গুণীগণেব উৎসাহদাতা মানুষ ছিলেন বটে, কিন্তু অতিশয সিদ্ধি খাইতেন। লোকে যেমন ঘবেব দেওয়ালে গোববেবি ঘুটে দিযা বাখে, তেমনি তিনি শাহাব বৈঠক-ঘবে দেওযালে ছোট ছোট ঘুটেব মত সিদ্ধি দিয়া বাখিতেন, মধ্যে মধ্যে তাহ লইয়া নিজে খাইতেন এবং বন্ধু দিগকে খাইতে দিতেন । আশ্চর্য্য এই দেখা গেল। ইহাব কয়েকটি সন্তান পাগল হইয়া গেল । ইহাব অতিবিক্ত সিদ্ধি পান ও ভোজন তাহাব কাবণ হইতে পাবে। যাহা হউক, আমাৰ শৈশবে ও আমাব গ্রাম ত্যাগ কবিবাব সমযে, মজিলপুব শিক্ষাদি বিষয়ে চব্বিশ পৰগণাব দক্ষিণ প্রদেশে একটী অগ্রগণ্য গ্রাম হইষা দাডাঙ্গ যাছিল। এই গ্রামে ব্রাহ্মধর্ম্মেব ও বালিকাবিদ্যালয় স্থাপনেব আন্দোলন চতুর্থ পবিচ্ছেদ বর্ণনা কবা। যাইবে । মাতার কাছে পাঠশিক্ষা। -এই সময়েব আব্ব কযেকটা বিষয় স্মবাণ আছে। মাতাঠাকুবাণীব আহিব কাবান’ব গুণে আমাব ভুড়িটি বিলক্ষণ বড় হইয়াছিল। কল্পাকৃতি হাত পা, কিন্তু ভুড়িটি বেশ গোলগাল। সেজন্য শু্যামাচরণ পণ্ডিত মহাশয় আমাকে “অফিংখেকো ৰামণি' বলিতেন ; এবং আমাকে কাছে পাইলেই, দুই আঙ্গুল দিয়া আমাৰ পেট টিপিতেন। খামি জুড়ির জন্য অনেক শিক্ষকের কাছে এই পেট টেপাৰ যন্ত্রণ ভোগ