পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S9ዓ8 শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ ১৭শ পরিঃ না থাকিলে পুরুষেরা দাঁড়াইয়া স্ত্রীলোকদিগকে বসিবার স্থান করিয়া দিবে। তদনুসারে আমি ও আর একটি পুৰুষ উঠিয়া দাড়াইতে যাইতেছি, কিন্তু আমরা উঠিতে না উঠিতে সেই মাতাল পুরুষটি হেলিয়া দুলিয়া উঠিয়া দাঁড়াইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। গাড়ীপ লোকেরা বলিল, “তুমি বসিয়া থাক, এরা উঠিতেছেন ।” কিন্তু সে তাহা শুনিল না ; তার মাতালে’ সুরে বলিল, “No ! ILadies, ” অর্থাৎ “তা হবে না ; ভদ্রমহিলা যে !” আমি দেখিলাম, বে। বেহু স তারও এতটুকু হুস আছে যে নিজে উঠিয়া ভদ্রমহিলার স্থান কবিয়া দিতে হইলে । নারীজাতির প্রতি এই সন্ত্রম ইংবাজ জাতিব চরিত্রের এক প্রধান লক্ষণ । সেখানে থাকিতে থাকিতে একদিন শুনিলাম যে এক ছুটির দিন Crystal Palace car trfer exétat 23r fre frt दांक्षांशेब्रा शं দাঙ্গায় প্রবৃত্ত হইল। কিয়ৎক্ষণ পরে একটি রোগা টিঙটেঙে মেয়ে আসিয়া তাহাদেব মধ্যে পড়িয়া সেই দাঙ্গা থামাইয়া দিলেন। তিনি নাকি ঐ শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ঘূবিয়া ঘুরিয়া তাহদের অবস্থার উন্নতির চেষ্টা করিয়া থাকেন। সত্যে প্রীতি ও প্রবঞ্চনায় ঘুণ। --অগ্রে সাধারণ প্রজাদের চরিত্রের কথাই বলি। তাহাদেব মধ্যে এক প্রকার মোটামুটি সত্যপরায়ণতা আছে । তাহারা অসত্যকে ঘুণ করে, প্রবঞ্চনাতে প্রবৃত্ত হয় না । যে কাজটা করিব বলিয়া ভার লয়, তাহা সুচারু রূপেই করিবার চেষ্টা করে। অপরের কথা সোজাসুজি বিশ্বাস করে ; সে প্রবঞ্চনার উদ্দেশ্যে বলিলেও তাহা বুঝিতে পারে না ; পরে প্রবঞ্চনা প্রকাশ পাইলে ভয়ানক রাগে, এবং উত্তমরূপে প্রহার কবে। আমি সেনাপতি গর্ডনের জীবনচরিত পড়িবার সময় একটি ঘটনার কথা পড়িয়াছিলাম। সেটি এই। গড়ন বড় দয়ালু মানুষ ছিলেন । একবার একজন প্রবঞ্চক লোক দরিদ্র সাজিয়া'এক গল্প সাজাইয়া আসিয়া