পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓbፖ শিবনাথ শাস্ত্রীব আত্মচাবিত [ ১৭শ পবিঃ একদিন গিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “এ ব্যবসা তোমরা কতদিন । চালাইতেছ?” উত্তর-গীত ৮৯ বৎসর। আমি-মধ্যে মধ্যে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হও না ? উত্তর-বিকরূপে ? আমি-লণ্ডনের মত প্রকাণ্ড সহবে মানুষ এক পাড়া হতে আর এক পাড়ায় উঠে গেলে খুঁজে পাওয়া ভার। মনে কর, যদি বই ফিরিয়ে না দিয়ে এ পাডা হতে উঠে যায়, তা হলে বই কি করে পাবে ? এই প্রশ্নে আশ্চর্যান্বিত হইয় তাহারা বলিল, “তা কি করে হতে পারে ? এ যে আমাদের বই। তাকে উঠে যাবার সময় ফিরে দিতেই এবে ।” আমি-মনে করা যদি না দেয় । তাহার হাসিয়া কহিল, “সে তাতেই পারে না ।” বই না দিয়া যে কেহ চলিয়া যাইতে পারে, হঁহা যেন তাহদের ধারণাই হয় না । উন্মুক্ত স্থানে নানা শ্রেণীর লোকের বক্তৃতা ও অন্যায়ের প্রকাশ্য প্রতিবাদ ।--অনেক নিম্নশ্রেণীর লোক কোনও উপাসনাস্থানে যায় না, এই অভাব দুব করিবাব জন্য আমি যাইবার কিছুদিন পূর্ব হইতে সেখানে একটা কাজ আরম্ভ হ'ল য়াছিল। কোন কোন খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায়ের প্রচারক ও উপদেষ্টাগণ, রবিবার প্রাতে ও সন্ধ্যাকালে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ও উদ্যান প্রভূতির বৃক্ষতলে, উপাসনা ও উপদেশ আরম্ভ করিয়াছিলেন। আমি অনেক সময় এই-সকল উপাসনা ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকিতাম। দেখিতাম, নিম্নশ্রেণীর নরনারী অনেকে দাড়াইয়া শুনিতেছে।. কোনও কোনও স্থলে দেখি ৩াম যে ধর্ম্মপ্রচারকদের দেখাদেখি রাজনীতির পক্ষীয়গণ এবং ব্রাড লা’র দলের নাস্তিকগণও তঁহাদের বক্তবা প্রকাশ করিতে আসিতেন। সে বড় কৌতুকের ব্যাপার। এক বৃক্ষতলে এক