পাতা:আত্মচরিত (৪র্থ সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f>] • প্রথমা পত্নী প্রসন্নময়ী do কুল উভয়কুলের মধ্যে বিবাদ পাকিয়া উঠিল। প্রসন্নময়ীকে আমাদের গুহ হইতে নিৰ্বাসিত করা হইল, এবং আমি পিতামাতায় এক মাত্র পুত্র বলিয়া, আমাকে দারান্তর গ্রহণে বাধ্য করা হইল । এই কার্য্যের পরেই আমার মনে অনুশোচনার উদয় হয়, তাহার ফলে আমি অল্পে অল্পে ব্রাহ্মসমাজের দিকে আকৃষ্ট হইতে থাকি । ব্রাহ্মধর্ম্ম হৃদয়ে প্রবেশ করিলে আমি অনুভব করিলাম যে প্রসন্নময়ীকে অকারণে সাজা দেওয়া হইয়াছে। তখন আমি তাঁহাকে নিব্বাসন হইতে গহে আনিবার জন্য ব্যগ্র হইয়া উঠিলাম। তিনি পুনরায় আমাদের গৃহে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। এদিকে আমি এক এক পা করিয়া ব্রাহ্মসমাজের দিকে অগ্রসর হইতে লাগিলাম । তৎপরে অনেক প্রকার পরীক্ষার ভিতব দিয়া আসিতে হইল। সে’ সকলের উল্লেখ নিম্প্রয়োজন। এই মাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, সে-সমুদয় পরীক্ষার মধ্যে প্রসন্নময়ী আমায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হইলেন। গোপনে উৎসাহ দান করিয়া আমাকে সবল করিতে লাগিলেন । ক্রমে সেই দিন আসিল, যখন আমাকে আত্মীয় স্বজন ইতে বিচ্ছিন্ন হইতে হইল। ১৮৬৯ সালে আমি প্রকাশ্য ভাবে ব্রাহ্মধর্ম্মে দীক্ষিত হইয়া ব্রাহ্মসমাজে প্রবিষ্ট হইলাম। সে সময়ে প্রসাদামীকে দন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন সকলেই আমার নিকট আসিতে নিষেধ করিলেন। তিনি কিছুতেই কর্ণপাত করিলেন না। আমার শিশু কন্যা হেমলতাকে লইয়া আমার নিকট আসিলেন। আমি তখনও ছাত্র। যে সামান্য ছাত্রবৃত্তি পাইতাম, তদ্বারাই নিজের আচরণ পোষা নিৰ্বাহ কারিতাম। সকলেই বুঝিতে পারেন, গৃহতাড়িত হইয়া আমাদিগকে কি ঘোর দারিদ্রোর মধ্যে বাস করিতে হইয়াছিল। প্রগামী অতি, হৃষ্টচিঙ্কে সেই স্নাগ্নিজ্যের মধ্যে স্বাল করিতে লাগিলুন।